Published :
Updated :
দক্ষিণ জনপদের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু ২০২২ সালের জুন মাস বা তার কাছাকাছি সময়ে খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “পদ্মাসেতুর ৮৭ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি, ৩০ শে জুন বা তার আশেপাশে সময়ে ইনশাআল্লাহ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।”
১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়ই পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তা শুরু হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ফিরে পুনরায় পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। প্রকল্পে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সহায়তার প্রস্তাব নিয়ে আসে বিশ্ব ব্যাংক।
কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন বিলম্বিত হতে থাকে। ২০১০ সালের জুলাইয়ে সেতু নির্মাণের জন্য প্রাক-যোগ্যতা দরপত্র মূল্যায়ন করে পাঁচ দরদাতাকে বাছাই করে তা বিশ্ব ব্যাংকের অনাপত্তির জন্য পাঠানো হলেও সংস্থাটি তা ঝুলিয়ে রাখে।
এরপর পদ্মা সেতুতে ‘সম্ভাব্য দুর্নীতির’ অভিযোগ আনে বিশ্ব ব্যাংক। দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংককে ‘না’ বলে দেয়।
শেষ পর্যন্ত নকশা অপরিবর্তিত রেখে নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় সেই বিপুল কর্মযজ্ঞ।
গত ১০ নভেম্বর পদ্মা সেতুর একেবারে শেষ পর্যায়ের কাজ মূল সেতুর সড়ক পথের পিচ ঢালাই শুরু হয়। একশ মিলিমিটার পুরুত্বের পিচ ঢালাই [কার্পেটিং] হবে দুই স্তরের। প্রথম স্তর হবে ৬০ মিলিমিটার এবং দ্বিতীয় স্তর হবে ৪০ মিলিমিটারের।