Bangla
2 years ago

সহিংসতা রোধের ‘আপ্রাণ চেষ্টা’ করবেন সিইসি

Published :

Updated :

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরের ধাপগুলোতে সহিংসতা রোধে ‘আপ্রাণ চেষ্টা’ করবেন তারা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তিনি আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি এলাকায় অবস্থান করে সংসদ সদস্যদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়েও সতর্ক করেছেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

বুধবার ঢাকার নির্বাচন ভবনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে আসেন সিইসি।

প্রথম দুই ধাপের ভোটে সহিংসতা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব নির্বাচনী সহিংসতা রোধ করার জন্য।

“একটাও সহিংস ঘটনা হবে না, মারামারি হবে না এমন নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি না। আমরা চেষ্টা করব এগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।”

তবে পাড়া এবং মহল্লায় পাহারা দিয়ে সহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব হবে না, এমন বাস্তবতা আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রাখতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন সিইসি।

করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির উন্নতির প্রেক্ষাপটে ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপে এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে ভোট হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল অংশ নিলেও বিএনপি নিচ্ছে না।

এ পর্যন্ত ভোটের আগে-পরে এবং ভোটের দিন মিলিয়ে তিন ডজনের বেশি লোকের প্রাণহানির তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে। ইতোমধ্যে ইউপি ভোটে সহিংসতা নিয়ে সবমহলে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

সিইসি বলেন, “সহিংসতা ঘটতে পারে এমন পকেটগুলো চিহ্নিত করে আগাম গোয়েন্দা তথ্য নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে নজরদারি বাড়ানো ও দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।”

নূরুল হুদা বলেন, “অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককে গ্রেপ্তারের তৎপরতা চলছে। এলাকার মাস্তান যারা বিশৃঙ্খলা করতে পারে তাদের আগাম গ্রেপ্তারের জন্যে ইন্সট্রাকশন দিয়েছি।”

আগের ধাপে সংঘাতময় ইউপি ভোটের পর পরের ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সংসদ সদস্য আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এলাকায় অবস্থান করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আচরণবিধি প্রতিপালনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, “এমপি-মন্ত্রীদের অধিকাংশই আচরণবিধি অনুসরণ করেন। দু’চারজন মানছেন না বলে অভিযোগ এসেছে।

“তাদের চিঠিও দেওয়া হয়েছে এলাকা ছাড়ার জন্য। প্রত্যেকটি ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে অতীতে মামলা করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আগামীতেও প্রয়োজনে মামলা করা হবে”

এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের ভোটে প্রার্থীদের প্রচারে অংশ নেওয়া থেকে সংসদ সদস্যদের বিরত থাকতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। যেসব সংসদ সদস্য এলাকায় অবস্থান করছেন তাদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। ধাপে ধাপে ভোটের মাধ্যমে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন উপযোগী সব ইউপির ভোট শেষ করার পরিকল্পনা করেছে ইসি।

আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ও ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ভোট রয়েছে। ২৭ নভেম্বর পঞ্চম ধাপের ইউপি ভোটের তফসিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

Share this news