প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ পাওয়ার প্ল্যান্ট এলাকায় সন্দেহভাজন পরিবহন কার্যক্রমের খবরে অভিযান চালিয়ে ৩৫০ বস্তা ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ড্যাপ) সারবোঝাই একটি ট্রাক জব্দ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৫টায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। অভিযানে সহযোগিতা করে শেরপুর থানা পুলিশ।
জব্দকৃত ট্রাকটির মালিক টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা আমিনুর ইসলাম জানান, বুধবার বিকেলে নওগাঁর সান্তাহার উপজেলার ‘জুয়েল ট্রান্সপোর্ট’ নামক একটি পরিবহন সংস্থা তার ট্রাকটি লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে সার পরিবহনের জন্য ভাড়া করে। তবে সারের কোনো বৈধ কাগজপত্র সরবরাহ করা হয়নি। ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, কাগজপত্র বগুড়ার চারমাথা এলাকায় দেওয়া হবে। কিন্তু পরে তা আর সরবরাহ করা হয়নি।
তিনি আরও জানান, কাগজপত্র না থাকায় চালক আব্দুল জলিল বিষয়টি সন্দেহজনক মনে করেন এবং ট্রাকটি শেরপুরে নিয়ে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রশাসনকে খবর দেন। চালকের বরাতে জানা গেছে, ট্রাকে মোট ৩৯৫ বস্তা সার ছিল।
এক প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক জানান, চালানের কাগজপত্র না থাকায় চালক জলিল সার পৌঁছাতে অস্বীকৃতি জানান। এ অবস্থায় ‘জুয়েল ট্রান্সপোর্ট’ অন্য একটি ট্রাক ভাড়া করে সার সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে নতুন ট্রাকচালকও কাগজপত্র না থাকায় মাল নিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে বিপাকে পড়ে সরকার-সার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িতরা।
এ বিষয়ে ইউএনও আশিক খান বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ট্রাকসহ সার জব্দ করা হয়। ট্রাক বা সারের মালিককে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।”
জব্দ করা ট্রাকটি বর্তমানে শেরপুর থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।