প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ কমিয়ে ২০ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা করা হয়েছে। আগের অর্থবছর ২০২৪-২৫ এ এই খাতে প্রাথমিকভাবে ২৯ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব ছিল, যা সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে ২১ হাজার ৬৫১ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জাতীয় সংসদে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এতে দেখা যায়, বিদ্যুৎ খাতে ধারাবাহিকভাবে বরাদ্দ কমিয়ে আনা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা, যা সংশোধন করে ২৭ হাজার ১৭৫ কোটি টাকায় নামানো হয়।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২০ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা এবং পরিচালন ব্যয়ের জন্য ৫৮ কোটি টাকা। যদিও উন্নয়ন ব্যয় হ্রাস পেয়েছে, পরিচালন ব্যয় গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১৩ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ খাতে উচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হলেও, বাজেটে অসম বণ্টনের কারণে অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হলেও জ্বালানি ঘাটতির কারণে সেগুলোর কার্যকারিতা বিঘ্নিত হয়েছে।
বাজেট বক্তব্যে উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না—এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খাতে ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মোট ব্যয় ১০ শতাংশ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষ বিধান আইন বাতিল করা হয়েছে এবং এই আইনের আওতায় হওয়া চুক্তিগুলো পর্যালোচনার জন্য একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ছাড়া, ২০০৮ সালের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালাকে যুগোপযোগী করে একটি নতুন নীতিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বাজেট অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।