ব্রহ্মপুত্রে নদে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ধর্ষণের শিকার কিশোরীর, গ্রেপ্তার ২
প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
For all latest news, follow The Financial Express Google News channel.
১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে অপহরণ করে ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জের পরিত্যক্ত কক্ষে রেখে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। চার তরুণ মিলে পালাক্রমে অসহায় মেয়েকে ধর্ষণের পর লজ্জা ও আতঙ্কে মেয়েটি ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর সে প্রাণে রক্ষা পায়।
পাশবিক ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার এসব তথ্য উঠে আসে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ভালুকার একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। সন্তানসম্ভবা মেয়েটির বড় বোনের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে গত ১৮ জুন সকালে সে গৌরীপুরের গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ময়মনসিংহ শহরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছিল সে। ওই সময় চার তরুণ তার সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ তৈরি করে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তাকে ফুসলিয়ে শম্ভুগঞ্জ এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে রঘুরামপুর ইউসি হাইস্কুল মাঠের পাশে একটি পরিত্যক্ত গুদামঘরে নিয়ে ১৭ ও ২০ বছর বয়সী দুই তরুণ পালাক্রমে ধর্ষণ করে, এসময় অপর দুইজন বাইরে পাহারায় ছিল বলে জানায় পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মেয়েটি পাটগুদাম সেতু থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে এবং খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। মেয়েটির চিকিৎসার খরচ বহন করে পুলিশ। এরপর পুলিশ মেয়েটির পরিবার খুঁজে বের করে।
ধর্ষণের শিকার মেয়ের মা এ ঘটনায় ১৯ জুন থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ নগরের শম্ভুগঞ্জ এলাকার ১৭ বছর বয়সী কিশোর ও রঘুরামপুর এলাকার মো. কাইয়ুমকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা দুজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার হয়ে মেয়েটি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারের পর আমরা নিজেরা অর্থের জোগান দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। মৃত্যুর মুখোমুখি থেকে মেয়েটি প্রাণে বেঁচেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সোমবার (২৩জুন) বিকেলে আদালতে নিজের সঙ্গে ঘটা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এরই মধ্যে আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি, বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি।’