চার সংস্কার কমিশনের ১৬ সুপারিশ বাস্তবায়ন করল অন্তর্বর্তী সরকার

চারটি সংস্কার কমিশনের ১৬টি সুপারিশ বাস্তবায়ন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন থেকে বাস্তবায়িত সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে— আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা এবং গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, পাসপোর্ট পাওয়াকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং গণশুনানির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, তদন্ত-পূর্ব অনুসন্ধান বাধ্যবাধকতা বিলোপ, দুদক আইনের ৩২(ক) ধারা বাতিল, উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতি তদন্তে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে পৃথক টাস্কফোর্স গঠন এবং সিএজি ও আইএমইডি’র সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বাস্তবায়ন হয়েছে।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা— সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ কমিশন গঠন, আদালতে ইনফরমেশন ডেস্ক স্থাপন, নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা স্থান নির্ধারণ, সরকারি সাক্ষীদের অনলাইনে সাক্ষ্যগ্রহণের ব্যবস্থা, আইনজীবীদের বিরোধে পক্ষপাত দূর করতে নির্দেশনা, আইনগত সহায়তার সঙ্গে মধ্যস্থতা কার্যক্রম সংযুক্ত করা, দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ—এসব বাস্তবায়ন হয়েছে।

এদিন সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, সরকার ডিসেম্বরের মধ্যেই সব সংস্কার বাস্তবায়ন করতে চায়। ১২১টি সুপারিশের মধ্যে ১৬টি ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত, ৮৫টি বাস্তবায়নের পথে, ১০টি আংশিক বাস্তবায়িত এবং বাকি ১০টি সুপারিশ নিয়ে আলোচনা চলছে।