জাতীয় ঈদগাহে ব্যাগ-ধারালো বস্তু নিষিদ্ধ, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় প্রস্তুত ডিএমপি

পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাতে কোনো ধরনের ব্যাগ, ধারালো বস্তু বা দাহ্য পদার্থ সঙ্গে আনা যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে এখন পর্যন্ত কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।

আজ শুক্রবার (৬ জুন) সকাল ১১টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নগরবাসীর উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নামাজ শেষ হলে সবাইকে ধীরে ও সুশৃঙ্খলভাবে ঈদগাহ ত্যাগ করতে হবে। যদি কোনো কিছু সন্দেহজনক মনে হয়, তাহলে নিকটস্থ থানায় বা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ জানাতে অনুরোধ করা হয়। নিরাপত্তা তল্লাশির সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন নিশ্চিত করতে ডিএমপি সমন্বিত, দৃঢ় এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

ডিএমপি কমিশনার জানান, জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। ঢাকায় এ বছর ১১৮টি ঈদগাহ এবং ১ হাজার ৬২১টি মসজিদে মোট ১ হাজার ৭৩৯টি ঈদের জামাত হবে।

বায়তুল মোকাররম, জাতীয় ঈদগাহসহ ঢাকার প্রতিটি জামাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা, ইউনিফর্মধারী এবং সাদাপোশাকে পুলিশের উপস্থিতি থাকবে। পাশাপাশি ঈদগাহ মাঠ ও আশপাশের এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হবে এবং নজরদারির জন্য ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ডিএমপির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট, সোয়াত এবং কুকুর ব্যবহারকারী (ক্যানাইন) ইউনিট।

মৎস্য ভবন ক্রসিং, প্রেসক্লাব মোড় এবং হাইকোর্ট মোড়—এই তিনটি প্রবেশপথে ব্যারিকেড ও তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। মুসল্লিদের আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশ করতে হবে এবং মেটাল ডিটেক্টর ও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তল্লাশি চালানো হবে। নারীদের জন্য আলাদা নামাজের জায়গা, প্রবেশপথ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার জানান, মুসল্লিদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের জন্য জাতীয় ঈদগাহের আশপাশে চারটি পয়েন্টে সকাল ৬টা থেকে ঈদের নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যানচলাচল বন্ধ থাকবে।

ব্রিফিংকালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এবং অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মাসুদ করিম উপস্থিত ছিলেন।