কোন আইফোন এখনও জনপ্রিয়?

বর্তমানে আইফোন ব্যবহার করা যেন যেকোনো মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরো বিশ্বে স্মার্টফোন ব্যবসায়ের ২১.৬৭% বাজার দখল করে আছে আইফোন এবং ১৪০ কোটি মানুষ আইফোন ব্যবহার করে থাকেন।

শুধুমাত্র হালের ক্রেজ এর জন্যে নয়, আইফোন এর বিশেষ কিছু ফিচারের জন্যেও এর উচ্চ মূল্যের পরও চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই।

২০০৯ সালে আইফোন প্রথম বাজারে আসে। অ্যাপেল এর তৎকালীন সি ই ও স্টিভ জবসের হাত ধরে। এখন পর্যন্ত আইফোন সগৌরবে স্মার্টফোনের দুনিয়ায় বিচরণ করছে।

এর মূল কারণ অ্যাপেল সব সময় তাদের কাস্টমারের প্রয়োজনীয়তা সামনে রেখে তাদের সিগন্যাচার প্রোডাক্ট ডিজাইন করে, যার কারণে এটি কখনো পুরোনো হয়ে যায় না। সময়ের সাথে যুক্ত হতে থাকের নিত্য-নতুন ফিচার। পরীক্ষিত, পর্যালোচনাকৃত, এবং তালিকার ভিত্তিতে কিছু আইফোন সম্পর্কে আমরা তুলে করতে পারি। 

আপনি যদি আইফোন কিনতে চান কিছু বিষয় মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন:

১। আইফোন ক্রয় আপনার হালের চাহিদা নাকি প্রয়োজন? 

২। নতুন আইফোন কিনবেন নাকি আগের ব্যবহৃত? 

৩। কোন মডেলের আইফোন আপনার জন্য সুবিধাজনক?

জনপ্রিয় ক্ল্যাসিক

আইফোন সিক্স প্রথম বাজারে আসে ২০১৪ সালে। পরবর্তী সময়ে আইফোন সিক্স ও আইফোন সিক্স এস প্লাস দুটো ফোনই ব্যাপক সফলতা পায়।

মূলত আইফোন সিরিজের প্রধান সব বৈশিষ্ট্য, এর সাইজ এবং দামের কারণে এটা এখন পর্যন্ত অনেকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।

আইফোন সিক্সের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল, স্লিক ও মেটালিক ডিজাইন, ৪.৭ ইঞ্চি রেটিনা ডিসপ্লে, ৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা, ও অ্যাপল এএইট চিপ প্রসেসর । এটা শেষ আপডেট অনুযায়ী আইওএস ১২.৫.৭ পর্যন্ত আপডেট করা যায়।

আইফোন এক্স

আইফোন এক্স সিরিজের মধ্যে রয়েছে আইফোন এক্স, এক্স এস, এবং এক্স এস ম্যাক্স । এই সিরিজের ফোনগুলো ২০১৭ ও ২০১৮ তে বাজারে আনা হয়।

তবে আইফোন এক্স এখনও অনেক বেশি জনপ্রিয়। এটাকে আইফোন টেন ও বলে থাকেন অনেকে। এর বেশ কিছু ফিচারের কারণে আইকনিক ফোন হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেমন- বেজেল-ছাড়া ডিজাইন, এটাই প্রথম যা ওএলইডি ডিসপ্লের। প্রায় পুরো ফ্রন্ট প্যানেলের সুপার রেটিনা ডিসপ্লে, ফেস আইডি,  ট্রুডেপথ ক্যামেরা সিস্টেম ও দুটি ১২ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা যা পোর্ট্রেট মোড, পোর্ট্রেট লাইটিং এবং এইট কে ভিডিও রেকর্ডিংয়ে সহায়তা করে। সুবিধাজনক ফিচার থাকার কারণে বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশে আইফোন এক্স/ টেন এর ব্যবহারকারী অনেক বেশি। 

ক্যামেরার জন্য সেরা আইফোন

বর্তমান সময়ে আইফোনের এতো জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণ কী? এর অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে ক্যামেরা বা ছবি তোলা।

যদিও আইফোন সিরিজের যত নতুন আপডেটেড ফোন এসেছে প্রতিটাই একটার তুলনায় আরেকটা এগিয়ে গিয়েছে। একেবারে ব্র্যান্ড নিউ এডিশন হলো আইফোন সিক্সটিন প্রো ম্যাক্স যা ক্যামেরার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে।

তবে উচ্চ মূল্যের কারণে এটা অনেকেরই ক্রয় সীমার বাইরে। তাদের জন্য আরেকটি বিকল্প হতে পারে আইফোন ফরটিন প্রো। আইফোন ফরটিন প্রো মোবাইল ফটোগ্রাফিকে একটা নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে, ৪৮ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা ও  ১২ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড এবং টেলিফোটো ক্যামেরা, কোয়াড-পিক্সেল সেন্সর: যা চারটি পিক্সেলকে একত্রিত করে  এবং কম আলোয় ভালো ছবি তুলতে পারে।

এছাড়া রয়েছে সেন্সর-শিফট অপটিক্যাল ইমেজ স্টেবিলাইজেশন, ফোটনিক ইঞ্জিন, ১২০-ডিগ্রি ফিল্ড অব ভিউ, ভিডিও ধারণের ক্ষেত্রে সিনেম্যাটিক মোড, অ্যাকশন মোড এবং এইট কে এইচ ডি আর রেকর্ডিংয়ের ব্যবহারযোগ্যতা। ছবি তুলতে আগ্রহী হলে আইফোন ফরটিন প্রোকে তাই বিবেচনায় রাখা যেতেই পারে।

বর্তমানে বহুল জনপ্রিয়

বর্তমানে আইফোনের সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেল হল আইফোন সিক্সটিন। আইফোন সিক্সটিন ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই বাজারে আসে এবং আসা মাত্রই সাড়া ফেলে। আইফোন সিক্সটিনে অ্যাপেল স্মার্টফোনের প্রায় সব সেরা ফিচারই আছে যেসবের জন্যে এটাকে সেরা বলা যায়।

এর প্রধান কিছু বৈশিষ্ট্য হলো- ৬.১ ইঞ্চি ওএলইওডি স্ক্রিন, অ্যালুমিনিয়াম ও গ্লাস ডিজাইন, রি-ডিজাইন ক্যামেরা ক্লাস্টার, নতুন এ এইটটিন চিপ যেটা অ্যাপলের এ আই ফিচারকে ব্যবহারযোগ্য করে।

সাধারণ ব্যবহারে ব্যাটারি ৪৮ ঘণ্টা বা দুইদিন ব্যাকাপ দেয়। ক্যামেরা বেশ উন্নত এই মডেলের যে ক্লোজআপ শটের জন্য একটি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি মোড রয়েছে যেখানে নিজের ইচ্ছে মতো ছবিতে পরিবর্তন আনা যায়। সব দিক মিলিয়ে তাই এখন আইফোন ১৬ সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সেরা ফোন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইফোন কেনার সময় এর মডেলগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা রাখলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে ।

tahmira48@gmail.com