প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, কোনো ধরনের মব জাস্টিসকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, মব জাস্টিসের ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে জাইকা’র কারিগরি সহায়তায় ডিএমপির ডিআরএসপি প্রজেক্টের আওতায় আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা পোস্টার ও স্লোগান’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।
কমিশনার জানান, ঢাকায় মব জাস্টিস ঠেকাতে পুলিশ ব্যর্থ হলে সেই পুলিশ সদস্যদের জবাবদিহি করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, উত্তরায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নূরুল হুদাকে ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মামলা নেওয়া হয়েছে। এমন ঘটনায় আমরা ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা হিসেবে গ্রহণ করছি, যা থেকে বোঝা যায়—মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, কিছু ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগে যে হারে মব জাস্টিস ঘটত, এখন তার হার অনেক কমে এসেছে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, পুলিশ এখন রাতে কোনো বাড়িতে আসামি ধরতে গিয়ে দরজা ভাঙা বা জোরপূর্বক প্রবেশের মতো কাজ করছে না। এমন আচরণ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, কেউ অপরাধী ধরে এনে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। যদি কেউ এমন করে, তাহলে পুলিশকেই খবর দিতে হবে, তারাই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। যারা এসব ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবেন না, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁদাবাজি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, আদাবর থানায় এক চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা রুজু করে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার এবং জাইকার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।