Bangla
5 hours ago

পরিবেশ দূষণমুক্ত চাইলে দূষণকারী শিল্পকারখানা বন্ধ করার আহ্বান

প্রকাশিত হয়েছে :

সংশোধিত :

পরিবেশ দূষণমুক্ত চাইলে দূষণকারী শিল্পকারখানা বন্ধ করতে শিল্প-উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘রাজধানী ঢাকার টেকসই উন্নয়নে বিকেন্দ্রীকরণ ও পরিবেশ সুরক্ষা’ শীর্ষক ফোকাস গ্রুপ আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, দেশের জলবায়ু পরিবর্তন ঢাকার বিদ্যমান সমস্যাগুলো আরো প্রকট করছে। সারাদেশের টেকসইয়ের উন্নয়ন করতে হলে, তা সমাজ থেকে আসতে হবে, যা আমাদের মধ্যে বেশ অভাব রয়েছে। 

তিনি জানান, পলিথিন ব্যবহার কমাতে গত ১ বছরে অনেক ঝুঁকি মোকাবিলা করে সরকার বেশকিছু কাজ করেছে। এখন সরকারি অনেক সংস্থাও এগিয়ে আসছে এবং আশা করছি ভবিষ্যতে ভালো ফল পাওয়া যাবে। পরিবেশ দূষণমুক্ত চাইলে দূষণকারী শিল্পকারখানা বন্ধ করতে শিল্প-উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। 

উপদেষ্টা আরো বলেন, ঢাকায় জনসংখ্যা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ রাখা বেশ কষ্টসাধ্য এবং বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করতে ঢাকার আশেপাশের শহরগুলোকে স্যাটেলাইট শহর হিসেবে গড়ে তোলা জরুরি। পুরোনো কাঠামো, লোকবল এবং প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করে, নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়া বেশ কঠিন বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

পরিবেশে উপদেষ্টা জানান, সরকার এয়ার পিউরিফায়ারের উপর আরোপিত ট্যাক্স অনেকাংশে কমিয়েছে, তা ব্যবহারে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ঢাকা শহরের আশেপাশে ৪টি নদীসহ সারাদেশে ১৩টি নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং এ কাজে দাতা সংস্থাগুলো সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

অন্যদিকে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ঢাকার জিডিপিতে অবদান ৪৫ শতাংশ হলেও যানজটের কারণে প্রতিদিন প্রায় ১৪০ কোটি টাকার কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। ঢাকার চাপ কমাতে আশপাশের শহরগুলোকে সেকেন্ডারি শহরে পরিণত করতে হবে।

রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ঢাকার টেকসই উন্নয়নের জন্য সারাদেশে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সমন্বিত পরিকল্পনা ও একটি সংস্থার অধীনে উন্নয়ন কার্যক্রম আনার ওপর তিনি জোর দেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থপতি ইকবাল হাবিব। তিনি বলেন, ঢাকার ৩২ শতাংশ নগর জনসংখ্যা অতিরিক্ত কেন্দ্রীভূত হওয়ায় জলাবদ্ধতা, বর্জ্য সংকট ও জনস্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ছে। বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া টেকসই নগরায়ন সম্ভব নয়।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ড. আদিল মোহাম্মদ খান, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক, রিহ্যাব সিনিয়র সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, নগর পরিকল্পনাবিদ দিলবাহার আহমেদ, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক এবং ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম।

শেয়ার করুন