Bangla
a year ago

রোজায় কেউ যাতে সুযোগ নিতে না পারে: ডিসিদের বললেন বাণিজ্য মন্ত্রী

প্রকাশিত হয়েছে :

সংশোধিত :

রোজার মাসে কেউ যেন ভোক্তাদের জিম্মি করতে না পারে, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সতর্ক থাকতে বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বুধবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের একটি সেশনে মতবিনিময়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সম্মেলনে দুই মিনিট কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে ৩০ সেকেন্ড বলেছি রোজায় বাজার পরিস্থিতি নিয়ে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

“সেখানে বলেছি, রমজান মাস সামনে রেখে কেউ যাতে সুযোগ নিতে না পারে। আপনারা সরকারের হাত। আপনারা খেয়াল রাখবেন কেউ যাতে সুযোগ না নেয়। শক্ত ব্যবস্থা নেবেন।

“একই সঙ্গে বলেছি ভোক্তাদের অধিকার সচেতন করতে হবে। কোরবানির সময় পশুর চামড়ার দাম পায় না। সে সময়টায় সতর্ক থাকবেন। ব্যবস্থা নেবেন যাতে চামড়ার দাম নিয়ে কোন ছিনিমিনি খেলা না হয়।”

জেলা প্রশাসক সম্মেলন থেকে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, “সবার উদ্দেশে আমি বলেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য দিয়েছেন। গতকাল উনি আরেকটা টার্গেট দিয়েছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ডলারে যেতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ অর্জন বা বাস্তবায়ন করা সহজ নয়। এই লক্ষ্য অর্জনে জেলা প্রশাসকদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন আছে।

“অনেকগুলি দেশ নিম্ন আয় থেকে মধ্যম আয়ের দেশে গ্র্যাজুয়েট করেছে। দক্ষিণ এশিয়াতে পাকিস্তান, ফিলিপিন্স, শ্রীলঙ্কা ২০/২৫ বছর আগে গ্র্যাজুয়েট করেছে। তারা কিন্তু এরপর নেক্সট ধাপে যেতে পারেনি। আমরা এলডিসি হিসাবেও ওদের চেয়ে ভালো আছি।”

উপদেষ্টা বলেন, “যেসব দেশ এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েট করেছে, হাতে গোনা কয়েকটি দেশ কিন্তু উন্নত দেশ হয়ে পেরেছে। যেমন দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্যটা দিয়েছেন, সেগুলো বস্তাবায়ন করতে হলে মাঠ পর্যায় থেকে কাজ করতে হবে। ডিসিদের সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।

“টার্গেট পূরণে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণা বা পদ্ধতি বলে দিয়েছেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, কোয়ান্টাম কম্পিউটার, অপটিক্যাল ফাইবার এসব প্রযুক্তি যদি আমরা গ্রহণ করতে পারি, তাহলে টার্গেট এচিভ করা সম্ভব।”

পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্ব দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনতে বলেছেন। এই দুইটা বিষয় যদি ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে কিন্তু ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ ও ১২ হাজার ডলার মথাপিছু আয় সম্ভব।”

সম্মেলনে জেলা প্রশাকরাও বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, “ডিসিরা নানান কথা বলেছেন, কোথাও গ্যাসের সমস্যা, বিসিকের শিল্পনগরীতে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেছেন।

“বরিশালে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় ডিসিদের প্রস্তাবনা ছিল। এই মুহূর্তে সারাদেশে অনেকগুলো অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে গেছে। সেখানে অনেক জমি খালি পড়ে আছে। সবাই তার এলাকায় একটা অর্থনৈতিক অঞ্চল চায়। আমরা চাই যে সেটা যথাযথ হতে হবে। আমরা কৃষি জমিটা আর নষ্ট করতে চাই না।”

শেয়ার করুন