১৭ দিন বন্ধ থাকার পর পুরোদমে চালু হয়েছে জাতীয় চক্ষু হাসপাতালের কার্যক্রম
প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
১৭ দিন বন্ধ থাকার পর রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ফের চিকিৎসাসেবা চালু হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত কয়েকজন রোগী ও হাসপাতাল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে এই দীর্ঘ সময় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ছিল।
শনিবার থেকে রোগী ভর্তি, বহির্বিভাগের চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার কার্যক্রম আবার শুরু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক।
হাসপাতালের একটি প্রধান ফটক খোলা রয়েছে। রোগী ও স্বজনরা বিকল্প একটি প্রবেশপথ দিয়ে ভেতরে ঢুকছেন, যেটি পুলিশ, আনসার ও বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীরা নজরদারি করছেন।
সেবা চালুর খবর পেয়ে অনেকেই সকাল থেকেই হাসপাতালে আসেন।
ডেমরা থেকে আসা জুয়েল বর্মন বলেন, ডাক্তার আমাদের এক মাস পর আসতে বলেছিলেন। আমরা আগেও এসেছিলাম, কিন্তু তখন হাসপাতাল বন্ধ ছিল। আজ ডাক্তাররা ফেরার খবর পেয়ে আবার এলাম।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জেন আলম বলেন, "চিকিৎসাসেবায় সব ধরনের বিঘ্ন এখন কেটে গেছে। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে। তবে এখনো চার-পাঁচজন ব্যক্তি নতুন রোগীদের জন্য বিছানা প্রস্তুতে বাধা দিচ্ছেন।"
তিনি আরও জানান, জুলাই বিদ্রোহে আহত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ৫৪ জনের মধ্যে ৫০ জনই ছাড়পত্র না নিয়েই হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন। এখনও তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা যায়নি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, জনস্বার্থে সেবার ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই এখন তাদের মূল লক্ষ্য।