প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ব্যয়ের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের জিডিপির ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
আজ সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট ঘোষণা করেন।
বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের জন্য বেতন কাঠামো না হওয়ায় বিশেষ সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাবও থাকছে। তবে এবারের উন্নয়ন বাজেট গত বছরের তুলনায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা কম। প্রায় সব খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত — ৫৮ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, যেখানে বরাদ্দ ৩২ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে শিক্ষা খাত (২৮ হাজার ৫৫৭ কোটি), গৃহায়ন (২২ হাজার ৭৭৬ কোটি) এবং স্বাস্থ্য খাত (১৮ হাজার ১৪৮ কোটি)।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমেছে যথাক্রমে ৯ শতাংশ ও ১২ শতাংশের বেশি। এসব খাতে মূলত অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবিত এডিপিতে মোট প্রকল্প সংখ্যা ১ হাজার ১৪২টি। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ অর্থ পাঁচটি খাতে: পরিবহন ও যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, গৃহায়ন এবং স্বাস্থ্য। তবে এসব খাতে বরাদ্দ ৮ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমছে।
স্থানীয় উৎস থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৮৬ হাজার কোটি টাকা দিয়ে এডিপি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ শিক্ষার দ্বিগুণ এবং স্বাস্থ্য খাতের তিনগুণেরও বেশি।