প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
২০২৫-২৬ প্রস্তাবিত বাজেটে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র জমার বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার ফলে সঞ্চয়পত্র কেনার প্রক্রিয়া আগের তুলনায় সহজ হবে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে আর আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না।
আগে ৪৬টি সেবা গ্রহণে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক ছিল। এখন সেই সংখ্যা কমিয়ে ৩৫ করা হয়েছে। অর্থাৎ, ১১ ধরনের সেবার ক্ষেত্রে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। এইসব সেবায় করদাতাদের শুধু টিআইএন নম্বরসহ সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দিলেই সেবা পাওয়া যাবে।
যেমন, ক্রেডিট কার্ড নিতে বা ট্রেড লাইসেন্স করতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখাতে হবে না।
এর আগে গতকাল সোমবার (২ জুন) বিকেলে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এই বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক খাত থেকে এক লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে, যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকার চেয়ে কম।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৩ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা। কিন্তু বছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বিক্রি হয়েছে ৩৬ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র, যেখানে একই সময়ে আগের সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ৪৩ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। ফলে নিট বিক্রিতে ৭ হাজার ১৩ কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
তবে আশার খবর হলো, নতুন বাজেটে সঞ্চয়পত্র কেনার নিয়ম সহজ করায় সাধারণ জনগণ, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণি কিছুটা স্বস্তি পাবে।