Bangla
2 days ago

৩৬শে জুলাইয়ের মধ্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন করা হোক: নাহিদ ইসলাম

প্রকাশিত হয়েছে :

সংশোধিত :

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সোমবার এক বিবৃতিতে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই সনদ’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই দুটি ঐতিহাসিক দলিল রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ঘোষিত না হলে সরকার জুলাই উদযাপনের কোনো নৈতিক অধিকার রাখে না।

ফেসবুক বার্তায় নাহিদ ইসলামের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ হচ্ছে ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ, নেতৃত্বের অবদান এবং রাজনৈতিক নিরাপত্তা ও আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে একটি জাতীয় দলিল, যা ভবিষ্যতে সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাবে।

তিনি জানান, ৩১ ডিসেম্বর ছাত্রনেতৃত্ব ঘোষণাপত্র দিতে চাইলেও সরকার তা নিজ উদ্যোগে প্রকাশ করতে চেয়ে সময় নেয়। ছাত্রনেতৃত্ব সম্মান দেখিয়ে তখন সরে আসে। সরকারের অনুরোধে বিভিন্ন পক্ষ খসড়া জমা দেয় এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেও একটি খসড়া দেওয়া হয়। ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি দলিল তৈরি করে যৌথভাবে ঘোষণার পরিকল্পনা থাকলেও, সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন করেনি।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, "সরকার কেন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি, তা স্পষ্ট করেনি। আমরা এর জবাবদিহি চাই। রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণাপত্র জারির পাশাপাশি, তা সংবিধানে যুক্ত করার প্রতিশ্রুতি চাই। তবে সরকার যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয়, আমরা বসে থাকবো না। আমাদের ইশতেহার আমরা প্রকাশ করবো। অন্য পক্ষগুলোকেও আহ্বান জানাই, আপনারা নিজেদের দলিল তৈরি করুন। একসঙ্গে দলিল তৈরি করতে পারলে সরকার তা গ্রহণে বাধ্য হবে।" 

তিনি জানান, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করা হবে শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে।

এছাড়াও, ‘জুলাই সনদ’ সম্পর্কে তিনি বলেন, "এটি হবে মৌলিক রাষ্ট্রীয় সংস্কারের রূপরেখা, যেখানে সংবিধানের কোন কোন অংশে পরিবর্তন প্রয়োজন তা নির্ধারিত হবে। এই সনদে সকল রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর থাকবে এবং এটি বাস্তবায়ন হতে পারে গণভোট, গণপরিষদ অথবা সংসদীয় সংশোধনের মাধ্যমে। পরবর্তী সরকার এই সনদ অনুযায়ী সংস্কার চালিয়ে যেতে বাধ্য থাকবে।" 

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট তথা ৩৬শে জুলাইয়ের মধ্যেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন করা হোক—এটাই জনগণের প্রত্যাশা। কোনো পক্ষ যদি দলীয় স্বার্থে ঐক্যমত নষ্ট করে, তবে সরকার যেন ভয় না পেয়ে অন্যান্য পক্ষ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলে এই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করে।

এদিকে, আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’। পথেঘাটে, জনসভায় জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংলাপের মধ্য দিয়ে জুলাই দাবির পক্ষে জনমত গড়ার লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন, আলোচনা সভা ও পদযাত্রার মধ্য দিয়ে জুলাই ও আগস্ট জুড়ে এ দাবিগুলো আরও জোরালোভাবে তুলে ধরার কথা জানিয়েছে এনসিপি। 

শেয়ার করুন