আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াত
প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত দেখতে চায়।
তবে দলটি মনে করে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত।
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে মানুষের ভোগান্তি কমবে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা প্রমাণিত হবে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকার বনানীর একটি হোটেলে আয়োজিত 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে জামায়াতের দলীয় নিবন্ধন সংক্রান্ত রায়ের প্রেক্ষিতে দলের অবস্থান তুলে ধরা হয়।
সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, "কিছু বিষয় স্থির না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। সরকার মাত্র পাঁচটি সংস্কার নিয়ে এগোচ্ছে। আমাদের ৪১টি সুপারিশ আছে, তবে আমরা চাই অন্তত এই পাঁচটি বাস্তবায়ন হোক।"
তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছি, যেসব অপরাধ ঘটেছে, তাদের বিচার হতে হবে। আমরা দেখছি যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেদিক থেকে আমরা কিছুটা আশাবাদী। এখনও জুলাই সনদের যে ঘোষণা আসার কথা ছিল, সেটা হয়নি। ঐকমত্য কমিশন এখনও সেটি নিয়ে কাজ করছে।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। ভোটার জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে এবং যোগ্য ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তিনি প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিও জানান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, "আমরা এই বিষয়ে কোনো আপস করতে চাই না। প্রবাসীরা তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, প্রবাসীরা যেন ভোট দিতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে। এটা কোনো কঠিন কাজ নয়।"
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছেন না বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনের সময়সূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা যে সময়সীমা দিয়েছেন সেটা ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত। আমরা ইতোমধ্যে বলেছি, এই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত। রমজানের আগেই, ফেব্রুয়ারি মাঝামাঝি হলে ভালো হয়। কোনো কারণে যদি তখন না হয়, তবে এপ্রিলের বাইরে যেন না যায়। কারণ আমাদের দেশে মে মাস থেকে আবহাওয়া খারাপ হতে থাকে, তখন নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ থাকবে না। এটা আমাদের মতামত।"
তবে সময় নির্ধারণ করার অধিকার তাদের নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমরা সময় বললে মনে হয় যেন আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় চলে গেছি। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা শুধু মতামত দিতে পারি, দাবি করতে পারি। আমরা আমাদের মতামত জানিয়েছি।"
স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চেয়ে তিনি বলেন, "আমরা চাই মানুষের ভোগান্তির অবসান হোক। নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা ও নিরপেক্ষতা প্রমাণিত হোক।"
জাতীয় নির্বাচনে সমান সুযোগ নিশ্চিত হলে যেকোনো সময় নির্বাচনে অংশ নিতে জামায়াত প্রস্তুত বলে জানান তিনি।