Bangla
2 days ago

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

প্রকাশিত হয়েছে :

সংশোধিত :

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কিংবা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রদান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যপ্রণালি বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে।

এছাড়া, ট্রাইব্যুনাল কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তা বাস্তবায়নের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি তদন্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রসিকিউটরও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার এই সংশোধিত কার্যপ্রণালি বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সদস্য বিচারপতি এম মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নির্দেশে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ এস এম রুহুল ইমরান এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

২০১০ সালের কার্যপ্রণালি বিধিমালার মোট ২৪টি বিধির মধ্যে পাঁচটি পুরোপুরি বাতিল এবং বাকি ১৯টি বিধি আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ রদ করে নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে বিধি ৬ উল্লেখযোগ্য। নতুন বিধি ৬ অনুযায়ী, কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার যথাযথ সন্দেহ থাকলে তদন্ত কর্মকর্তা নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও তদন্ত করবেন এবং অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতাও নিতে পারবেন।

এছাড়া বিধি ৯(১) বাতিল করে নতুন বিধি যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তদন্ত কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কিংবা ৮(২) ধারার আওতাভুক্ত প্রসিকিউটর কার্যকর করবেন।

সংশোধিত বিধিতে ‘অভিযুক্ত’ বলতে ব্যক্তি ছাড়াও সংগঠনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে চিফ প্রসিকিউটরকে অতিরিক্ত কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ কার্যপ্রণালি বিধিমালা ২০১০-এর এই সংশোধিত সংস্করণ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

শেয়ার করুন