'আয়লা'র গতিতে চলতি সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'
প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় 'আয়লা'র গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার উপকূলবর্তী এলাকা। কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলী, পূর্ব মেদিনীপুর, বর্ধমান জেলায় কার্যাত তছনছ করে দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আয়লা। এই ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বেশকিছু মানুষের যেমন মৃত্যু হয়েছিল, তেমনি ভিটেমাটি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন কয়েক শতাধিক মানুষ।
আগামী বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার তাণ্ডব চালাতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'। যদিও বুধবার থেকেই আবার পরিবর্তন হতে শুরু করবে। বুধবারের মধ্যে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বুধবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে সমুদ্র ও নদীর পানির স্তর বাড়তে পারে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল বরাবর এই ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'র পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে বুধবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইবে। এই হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিমি।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র ইঙ্গিত দিয়েছেন 'ডানা’ নামক এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যায় অতিমাত্রায় প্রবাহিত হতে পারে, সেক্ষেত্রে ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার।
এদিকে 'ডানা' ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে রাজ্যটির সুন্দরবন সহ উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ। সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে বারণ করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন-সহ সাগরের উপকূল তীরবর্তী এলাকায় মানুষজনকে সতর্ক করা হয়েছে। এলাকায় মাইকিং শুরু হয়েছে। সিভিল ডিফেন্সের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও উঁচু জায়গায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেচ দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মীদের বাঁধের উপরে নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে। বাঁধের কোনরকম ক্ষতি হলে অবিলম্বে সেই বাঁধের মেরামতিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ও ব্লক অফিস গুলিতে শুকনো খাবার, খাবার পানি, ত্রিপল মজুদ করা হচ্ছে।