Bangla
7 days ago

বগুড়ায় পানির নিচে কৃষিজমি, রোপা-আমন ধান রোপণে উদ্বেগ

প্রকাশিত হয়েছে :

সংশোধিত :

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর, সুঘাট ও খানপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো অতি ভারী বর্ষণের কারণে প্লাবিত হয়েছে। ফলে এসব এলাকার কৃষকরা রোপা-আমন ধানের চারা রোপণে বিলম্বের সম্মুখীন হচ্ছেন। জমিতে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে থাকায় কৃষকদের মধ্যে উৎপাদন হ্রাসের উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মির্জাপুর এলাকার কৃষক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “জমিতে এখনও পানি জমে আছে। চারা রোপণের কোনো সুযোগ পাচ্ছি না। বৃষ্টি না থামলে ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হবে।”

ভবানিপুরের কৃষক রহিম উদ্দিন জানান, “বীজতলা প্রস্তুত থাকলেও জমি শুকাচ্ছে না। পানি না নামা পর্যন্ত চারা রোপণ করা সম্ভব নয়। এতে উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”

শেরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২,৩২৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১,৩০০ হেক্টর জমিতে চাষ সম্পন্ন হয়েছে। বীজতলা প্রস্তুতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১,৩২০ হেক্টর, যেখানে অর্জন হয়েছে ১,৩৮০ হেক্টর, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬০ হেক্টর বেশি। একজন কৃষি কর্মকর্তা জানান, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারা রোপণের সময় রয়েছে এবং এর মধ্যে পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া জানান, জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৪২ মিলিমিটার এবং আগস্টে এ পর্যন্ত ৪০৯ মিলিমিটার। তিনি আরও বলেন, আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “রোপা-আমন ধান চাষের জন্য চারার কোনো সংকট নেই। আমাদের পর্যাপ্ত বীজতলা মজুদ রয়েছে, যা আপদকালীন সময়ে ব্যবহার করা যাবে। কৃষকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।” 

anambba@gmail.com 

শেয়ার করুন