প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বগুড়া জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪২টি পশু। এ বছর জেলার পশুর চাহিদা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯ হাজার ১০টি। ফলে চাহিদার তুলনায় ১২ হাজার ৪২৭টি পশু বেশি থাকায় জেলায় পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এ বছর গরু প্রস্তুত করা হয়েছে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৭৭১টি। এর মধ্যে ষাঁড় ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯৯টি, বলদ ৪২ হাজার ৭৪৬টি ও গাভী ৮০ হাজার ৪২৬টি। এছাড়া রয়েছে ২ হাজার ৩০৪টি মহিষ, ৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৩২টি ছাগল এবং ৪৭ হাজার ১৪০টি ভেড়া।
পশু উৎপাদনের পাশাপাশি জেলায় খামারির সংখ্যাও বেড়েছে। গত বছর যেখানে খামারির সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৪৫৩ জন, এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ১৪৬ জন। তবে খামারিরা জানাচ্ছেন, পশু লালন-পালনের খরচ গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে কোরবানির বাজারে পশুর দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
শেরপুর উপজেলায় এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৫ হাজার ১৪২টি পশু। সেখানে চাহিদা ধরা হয়েছে ৬৭ হাজার ৩৫২টি। উপজেলাটিতে রয়েছে ২৩ হাজার ২৩৭টি ষাঁড়, ৭ হাজার ৪৭৩টি বলদ, ৪ হাজার ৩৩৯টি গাভী, ৩৬ হাজার ৪১২টি ছাগল, ৩ হাজার ৫২১টি ভেড়া এবং ১৬০টি মহিষ।
খামারিরা জানাচ্ছেন, ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ থাকায় দেশীয় খামারিরাই এখন কোরবানির পশুর যোগান দিচ্ছেন। এতে একদিকে দেশীয় উৎপাদকরা লাভবান হলেও, অপরদিকে খাদ্য, ওষুধ ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির কারণে পশু পালনে ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য পশু কেনা কিছুটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
শেরপুর উপজেলার খামারি নাসির বলেন, "গরুর খাবার, ওষুধ ও শ্রমিকের খরচ বেড়েছে। গত বছর যে গরু ৫০ হাজার টাকায় প্রস্তুত করেছি, এবার সেটির খরচই পড়ছে ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা।"
জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড.আনিছুর রহমান বলেন, "রাস্তার পাশে হাট বসানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে জেলায় ৮৭টি স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট নির্ধারণ করা হয়েছে এবং প্রতিটি উপজেলায় প্রশাসনিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।"
শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিয়ায কাযমীর রহমান বলেন, "খামারিরা এখন অনেক বেশি সচেতন। আমরা নিয়মিত প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে তাদের সহায়তা করছি। এতে স্থানীয়ভাবে পশু উৎপাদন বেড়েছে, যা কোরবানির চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।"