'বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস' উপলক্ষে বাংলাদেশ ফুড সেফটি ফাউন্ডেশনের সেমিনার

'বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস' উপলক্ষে বাংলাদেশ ফুড সেফটি ফাউন্ডেশন শনিবার (২১ জুন) রাজধানী ঢাকায় “উন্নত নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিজ্ঞানের ব্যবহার: বাংলাদেশে প্রেক্ষপট" শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে খাদ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা, ক্যাব, গণমাধ্যম, একাডেমিয়া, বিজ্ঞানী ও ভোক্তা প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। 

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া এবং সাবেক কৃষি সচিব মো. আনোয়ার ফারুক। বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক মোহাম্মদ লিয়াকত আলী এতে সভাপতিত্ব করেন।  

সাইদুর রহমান তার বক্তব্যে নিরাপদ খাদ্যের সাথে পুষ্টি এবং অনিরাপদ খাদ্যের সাথে অসুস্থতা ও পরিবার তথা দেশের ওপর আর্থিক চাপ নিয়ে আলোচনা করেন। 

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখনে বাংলাদেশ ফুড সেফটি ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মুশতাক হাসান মুহঃ ইফতিখার। তিনি বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য "ফুড সেফটি: সায়েন্স ইন একশন"-এর উপর একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা প্রদান করেন। 

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) পরিচালক ড. মঞ্জুর মোরশেদ আহমেদ তাঁর উপস্থাপনায় খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলের প্রতিটি ধাপে অনুসৃত বিষয়গুলো বিজ্ঞানসম্মতভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠিত খাদ্যশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে বিজ্ঞানসম্মতভাবে নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত করা সম্ভব হলেও, অন্যান্য ক্ষুদ্র ও কুটির পর্যায়ের খাদ্যশিল্প প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তা সম্ভব হয় না।

বিদ্যমান সম্পদ ব্যবহার করে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা কঠিন হওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট সরকারি ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। 

প্যানেল আলোচকদের মধ্যে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিচালক মো. সাইদুল ইসলাম, নেসলের রেবেকা শারমিন, কৃষিবিদ ড. শেখ মাহাতাব উদ্দিন, ড. এম জয়নুল আবেদিন, অধ্যাপক ড. মো. রিয়াজুল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য মাহবুব কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ইকবাল তৌফিক রউফ মামুন এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ শাহিনুর আলম ।

তারা সব পক্ষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি:, নিরাপদ খাদ্য সংস্কৃতি, খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সামর্থ্য বৃদ্ধি, সম্মিলিতভাবে কাজ করা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের ওপর গুরুত্ব দেন। 

সেমিনার 'খামার থেকে টেবিল' পর্যন্ত খাদ্য শৃঙ্খলে বিজ্ঞান চর্চা এবং অনুশীলনের শূন্যস্থান পূরণে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য সরকার, শিল্প, একাডেমিয়া ও ভোক্তাসহ সকল অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।