প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) স্টারলিংককে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার জন্য প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে।
একটি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বিটিআরসি গত সপ্তাহে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে একটি চিঠি পাঠিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন চেয়েছে।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী, বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, যেমন লাইসেন্স প্রদান, বিটিআরসিকে মন্ত্রণালয়ের পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়।
চলতি বছরের ৭ এপ্রিল, স্টারলিংক “বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সেবা প্রদানকারী নির্দেশিকা”-এর আওতায় বিটিআরসির কাছে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে।
এর আগে, ২৫ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন যেন ৯০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বাণিজ্যিকভাবে চালু হয় তা নিশ্চিত করা হয়।
পরীক্ষামূলক সম্প্রচারের সময় স্টারলিংক বিদেশি স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড গেটওয়ে ব্যবহার করে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করছিল বলে কর্মকর্তারা জানান।
তবে বাণিজ্যিকভাবে সেবা চালু করতে হলে, কোম্পানিটিকে এনজিএসও নীতিমালার অধীনে স্থানীয় ব্রডব্যান্ড গেটওয়ে বা আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ব্যবহার করতে হবে।
এলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক বর্তমানে বাংলাদেশে লাইসেন্স প্রক্রিয়া নিয়ে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো বারবার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সমস্যার সমাধান করা, যা বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্স ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে আসছে।
স্টারলিংকের বাজারে প্রবেশকে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দেশের দুর্গম এলাকাগুলোর মানুষ ও উদ্যোক্তাদের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে যৌথভাবে গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের কাজ করছে, যা স্যাটেলাইট সংযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে দেশের ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের সমন্বয় সহজ করবে।