বরিশালে এজেন্টকে বের করে দেওয়ার খবরে কেন্দ্রে গিয়ে হামলার শিকার হাতপাখার প্রার্থী
প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
এজেন্টকে বের করে দেওয়ার খবর শুনে কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র পদপ্রার্থী মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম।
সোমবার দুপুরে নগরীর ছাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথার কাছে এ হামলার ঘটনার হাতপাখার প্রার্থী বরিশাল মহানগর পুলিশে কমিশনারের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দিয়েছেন। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
অভিযোগ দিয়ে বের হয়ে ফয়জুল করীম বলেন, ৩০-৪০ জন ‘নৌকা সমর্থক’ অতর্কিতভাবে এই হামলা চালায়।
হাতপাখার প্রার্থী বলেন, “আমাদের ঘিরে হঠাৎ কী নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু করল, ফট করে দেখি আমাকে ঘুষি দেওয়া শুরু করছে। কীসের আমার উপর হামলা, আমি নিজের লোকদের তখন সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে দিয়েছি। আমি শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে ওদের পতন ঘটিয়ে মাঠ থেকে বিদায় হব।
“আমার গায়ে হাত দিয়েছে, রক্তাক্ত করেছে। (তখন তিনি নিজের নাকের রক্ত দেখান)। আমি কী করেছি? আমি একজন প্রার্থী। আমি তো তাদের মুরব্বি, আলেম মানুষ।আমার উপর আঘাত করতে হবে তাদের। অথচ আমি কিচ্ছু বললাম না।
এ নিয়ে মামলা করবেন জানিয়ে হাতপাখার প্রার্থী বলেন, “নির্বাচন শেষ হোক। আমি যেহেতু রক্ত ঝরিয়েছি। আওয়ামী লীগের পতন হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি রাজপথ ছাড়ব না।”
হাতপাখার মিডিয়া সেলের প্রধান কে এম শরিয়ত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “হামলার সময় লাঠিসোটা ও পাথর ব্যবহার করা হয়। হুজুরের সাথে থাকা বেশ কিছু নেতাকর্মী এসময় কমবেশি জখম হয়।”
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ পেয়েছি। হামলায় উনার দাঁত ফেটে রক্ত বেরিয়েছে। প্রার্থীর ওপর যেই হামলা করে থাকুক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রেপ্তার করা হবে।“
হামলার অভিযোগ মৌখিকভাবে পেয়েছেন জানিয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমি অভিযোগ পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নিতে বলেছি।
“এই হামলাটি কেন্দ্রের বাইরে হয়েছে; ফলে ভোটের এর কোনো প্রভাব পড়েনি।”
তবে এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও আওয়ামী লীগের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে বরিশাল নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউনিয়া প্রধান রোডে এ কাদের চৌধুরী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হাতপাখার কর্মীদের ওপরও হামলা করা হয় বলে মিডিয়া সেলের প্রধান অভিযোগ করেছেন। তিনি আরও বলেন, এসব হামলার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোটে অনিয়ম ও নৌকার সমর্থকদের বিশৃঙ্খলার বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন অভিযোগ জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, “হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী দুটি কেন্দ্রের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, আমরা সংশ্লিষ্টরদের তাৎক্ষণিক বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেছি। আশা করি, আধাঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ছাড়া আর কোনো অভিযোগ কেউ দেয়নি বলেও জানান তিনি।