প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কিছুটা বাড়লেও বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে এখনো চামড়া বিক্রি হচ্ছে না। গাজীপুরের বাসন থানার জাহানারা সিদ্দিকিয়া মাদরাসার এক ছাত্র বলেন, “চামড়ার দাম বলা হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, কিন্তু মৌসুমি ক্রেতারা কয়েকটি চামড়া নিতে চাইছেন না।”
শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আজহার দিনে সাভারের আমিনবাজার সেতু সংলগ্ন অস্থায়ী চামড়ার হাটে এমন চিত্র দেখা গেছে। ভ্যান, পিকআপ, অটোরিকশায় বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়া আসতে শুরু করে দুপুরের পর থেকেই।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় গরুর চামড়া ৮৫০–৯০০ টাকায়, মাঝারি চামড়া ৪৫০–৫০০ টাকায় এবং ছাগল ও ভেড়ার চামড়া ৫ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেউ কেউ গড় হিসেব করে ৭০০–৮৫০ টাকায়ও চামড়া কিনছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, সংরক্ষণ, লবণ, পরিবহনসহ একেকটি চামড়ায় তাদের অতিরিক্ত ৩০০–৪০০ টাকা খরচ হচ্ছে। এছাড়া অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত বা রোগাক্রান্ত চামড়া কিনতেও বাধ্য হচ্ছেন, যা পরবর্তীতে ট্যানারিতে বিক্রি করা সম্ভব নয়।
সরকার গত ২৫ মে যে দাম নির্ধারণ করেছে, সে অনুযায়ী ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৬০–৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫–৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বনিম্ন মূল্য ঢাকায় ১,৩৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১,১৫০ টাকা। বকরির চামড়ার দাম ধরা হয়েছে ২০–২২ টাকা প্রতি বর্গফুট।
চামড়া বিক্রি হচ্ছে সেতুর আশপাশের সড়ক ও কর্দমাক্ত ফুটপাতে। অনেকেই বিক্রির আগে চামড়ার চর্বি, কান, মাংস নিজ হাতে পরিষ্কার করছেন।
ক্রেতারা বলছেন, এবার কোরবানির সংখ্যা কম হওয়ায় চামড়ার সরবরাহও কম, তাই তারা ভালো দাম দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে বিক্রেতাদের অভিযোগ, মৌসুমি ক্রেতারা নানা অজুহাতে দাম কমানোর চেষ্টা করছেন এবং মানসম্মত চামড়াও নিচ্ছেন না।
ছাগলের চামড়া প্রসঙ্গে একজন ক্রেতা বলেন, “প্রসেসিং কষ্টকর, তাই দামও কম। অনেকে তো চামড়া ফেলে দিচ্ছেন।”
সব মিলিয়ে বাজারে কিছুটা চাহিদা থাকলেও দাম ও মান নিয়ে এখনও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে অস্বস্তি রয়ে গেছে।