চার ধরনের অপরাধের শাস্তির বিধান রেখে 'সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫' জারি
প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যেই প্রকাশ করেছে সরকার। আজ রোববার (২৫ মে) রাতে এটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।
এর প্রতিবাদে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় কর্মচারীরা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ ও মিছিল করেন। তারা এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন চলছে।
এর আগে, ২২ মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। রোববার সেটিই অধ্যাদেশ আকারে প্রকাশ করা হলো।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, প্রায় সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানসমূহের কিছু কঠোর ধারা যুক্ত করে এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হয়েছে।
নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের চার ধরনের কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এগুলো হলো:
১. অননুমোদিত কার্যকলাপে অংশগ্রহণ বা অন্য কর্মচারীদের অননুগত্যে উৎসাহিত করা।
২. যৌক্তিক কারণ বা ছুটি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা।
৩. অন্যদের কর্মবিরতিতে উসকানি বা প্ররোচনা দেওয়া।
৪. কারও কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া।
এই অপরাধগুলোর জন্য দণ্ড হিসেবে পদাবনতি, চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্তের বিধান রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া, বিভাগীয় মামলা ছাড়াই সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগও যোগ করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হবে এবং আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি দেওয়া যাবে।
এ ক্ষেত্রে শাস্তি পাওয়া কর্মচারী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে আপিল করতে পারবেন। তবে রাষ্ট্রপতির দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না, শুধু পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যাবে।
আন্দোলনরত কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশকে সংবিধানের বিরোধী দাবি করে অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।