Bangla
3 days ago

চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ধারণক্ষমতা বাড়ল প্রায় ১০ শতাংশ

প্রকাশিত হয়েছে :

সংশোধিত :

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রতি তীব্র জট কমাতে কনটেইনার সংরক্ষণের সক্ষমতা প্রায় ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, কনটেইনার জটের আশঙ্কার কারণে সিপিএ ৫ হাজার ৪৮২ টিইইউ (২০ ফুট সমপরিমাণ কনটেইনার) বাড়তি সক্ষমতা ঘোষণা করেছে। সক্ষমতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে নিয়মিতই ইয়ার্ড, শেড ইত্যাদি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। গত এক বছরে বেশ কয়েকটি ইয়ার্ড সংস্কার করা হয়েছে এবং নতুন ইয়ার্ড নির্মাণও চলছে।

তিনি আরও জানান, পুরনো নিলাম ইয়ার্ড, গাড়ি সংরক্ষণ এলাকা, ব্যাগেজ শেড, এক্স-ওয়াই শেডসহ কয়েকটি জায়গায় নতুন ইয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। এগুলো যুক্ত হওয়ায় আগের ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউ ধারণক্ষমতা বেড়ে এখন প্রায় ৫৯ হাজার টিইইউ হয়েছে। ফলে এখন চট্টগ্রাম বন্দরে আগের তুলনায় বেশি কনটেইনার রাখা সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৪৭ হাজার থেকে ৪৮ হাজার টিইইউ কনটেইনার সংরক্ষণ করা হচ্ছে এবং বন্দরের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চলছে।

তিনি জানান, আগে প্রতিদিন গড়ে ১০টি কনটেইনার জাহাজ সামলানো হতো, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ থেকে ১৩টিতে। এর ফলে রপ্তানির লিড টাইম কমে এসেছে।

এছাড়া তিনি জানান, চলতি বছর আরও কয়েকটি ইয়ার্ড নির্মাণ শেষ হলে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ধারণক্ষমতা প্রায় ৬২ হাজার টিইইউতে দাঁড়াবে। পর্যাপ্ত ইয়ার্ড সুবিধার কারণে বর্তমানে প্রায় ৬ হাজার টিইইউ রপ্তানিমুখী কনটেইনার বন্দরে অগ্রিম স্তুপাকারে রাখা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ রেলের লোকোমোটিভ সংকটের কারণে ঢাকা আইসিডি (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো)-গামী কনটেইনার পরিবহনে জট তৈরি হয়েছে, যা রেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া প্রায় ১০ হাজার কনটেইনার নিলামের অপেক্ষায় রয়েছে। এগুলোসহ ও ঢাকা আইসিডিতে থাকা প্রায় ২ হাজার কনটেইনার মিলিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ১২ হাজার কনটেইনার বেশি জমে আছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আউটার অ্যাংকরেজে জাহাজের অপেক্ষার সময় নেমে এসেছে শূন্য থেকে ২ দিনে। আর গড়ে জাহাজ ঘুরে যাওয়ার (টার্ন-অ্যারাউন্ড) সময় দাঁড়িয়েছে ২.৫৮ দিন।

শেয়ার করুন