Bangla
3 months ago

ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশু আছিয়া চিরনিদ্রায় শায়িত

প্রকাশিত হয়েছে :

সংশোধিত :

ধর্ষণের এক সপ্তাহ পর  মারা যাওয়া আট বছরের শিশু আছিয়াকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।  

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ মাগুরা স্টেডিয়ামে আনা হয়। এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাগুরার নোমানী ময়দানে মাগরিবের নামাজের পর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।  

জানাজায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার উপস্থিত ছিলেন। পরে আছিয়াকে তার গ্রামের বাড়ির পাশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।  

শিশুটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্ষুব্ধ জনতা সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত হিতু শেখের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।  

উল্লেখ্য গত ৫ মার্চ রাতে আছিয়া তার বোনের শ্বশুরবাড়ি নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বেড়াতে গেলে ঘটনাটি ঘটে। সে রাতে বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে থাকলেও মাঝরাতে তার অনুপস্থিতি টের পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।  

অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির সামান্য দূরত্বে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।  

অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) এবং পরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ), ঢাকায় নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  

এই নির্মম ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে এবং অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি, অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানায়।  

এদিকে, পুলিশ ৮ মার্চ (রবিবার) এই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন—ভিকটিমের দুলাভাই সাজিব শেখ (২০), তার ভাই রতুল শেখ (২৫) এবং তাদের বাবা-মা, অর্থাৎ শিশুটির বোনের শ্বশুর-শাশুড়ি হিতু শেখ (৫০) ও জবেদা বেগম (৪০)।  

সোমবার (১০ মার্চ) মধ্যরাতে মাগুরার একটি আদালত প্রধান অভিযুক্তকে সাত দিনের রিমান্ডে এবং অন্য তিনজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।  

এদিকে, হাইকোর্ট (এইচসি) রোববার নিম্ন আদালতকে ছয় মাসের মধ্যে মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে।  

এছাড়া, তদন্ত ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। 

 

শেয়ার করুন