ঈদে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে তীব্র গাড়ীর যানবাহনের চাপেও স্বস্তির ঘরে ফেরা
প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
ঈদুল আজহার উৎসবমুখর আনন্দে ঘরমুখো মানুষের পদচারণায় মুখরিত ঢাকা-বগুড়া চার লেনের মহাসড়ক। এবারের ঈদযাত্রা ছিল অভূতপূর্বভাবে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ। তীব্র যানবাহনের চাপ সত্ত্বেও শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতায় কোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
গত তিন দিনে কয়েকটি ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৪ জুন) নয় মাইল ও দশ মাইল এলাকায় মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় ২ জন সামান্য আহত হন। এছাড়া মঙ্গলবার (৩ জুন) পল্লী উন্নয়ন একাডেমির সামনে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারালে পেছনের আরেকটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কায় ৪ জন সামান্য আহত হন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে মহাসড়কের শেরপুর অংশে ঘরমুখো মানুষের তীব্র চাপ লক্ষ্য করা গেছে। সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকের ভিড় থাকলেও দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়নি। পাশাপাশি দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকের ভিড়ও লক্ষ করা গেছে। কিছু পয়েন্টে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে হাইওয়ে পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে।
যাত্রীদের অনেকেই জানান, যানবাহনের চাপ থাকলেও নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পেরে তারা আনন্দিত। কারো কারো যাত্রা বিলম্বিত হলেও বড় ধরনের বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়নি।
বগুড়ার বনানীমুখি যাত্রী শাহানাজ পারভীন বলেন, "গাড়ি ধীরে চলেছে, মাঝে মাঝে দাঁড়িয়েছেও। কিন্তু আগের মতো দীর্ঘ যানজট হয়নি। পরিবার নিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পেরে খুব ভালো লাগছে।"
নওগাঁগামী কলেজছাত্র হাসিবুর রহমান বলেন, "যাত্রার সময় কিছুটা বিলম্ব হলেও সার্বিকভাবে কোনো বড় সমস্যায় পড়িনি। পুলিশ সদস্যরা খুবই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।"
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত মহাসড়কের উভয় পার্শে গাড়ীর তীব্র চাপ থাকলেও বড় কোন দুর্ঘটনা নেই । ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে হাইওয়ে পুলিশের ৮ টি পেট্রোল টীম নিয়মিত টহল ও তদারকি করেছে । কোথাও কোনো যানজট হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।