প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলিম সম্প্রদায়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ঈদের আগের দিন দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি আশা প্রকাশ করেন, পবিত্র ঈদুল আযহা সকলের মধ্যে ত্যাগের মহিমা জাগ্রত করে সমাজে কল্যাণ বয়ে আনবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “মুসলিমদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা মহান আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা, পূর্ণ আনুগত্য এবং চূড়ান্ত আত্মত্যাগের অনন্য প্রতীক। আল্লাহর নির্দেশে হযরত ইব্রাহিম (আ.) তাঁর প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে যে অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা ইতিহাসে অনন্য এবং আমাদের জন্য চিরকালীন শিক্ষা।”
তিনি বলেন, পশু কোরবানির মাধ্যমে আত্মত্যাগের যে শিক্ষা পাওয়া যায়, তা আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি এবং ধৈর্য ও সহমর্মিতার অনুশীলন শেখায়।
প্রতি বছর এই উৎসব পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা আত্মীয়-স্বজন, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণের মধ্য দিয়ে সমাজে সম্প্রীতি, সাম্য ও সহানুভূতির বন্ধন সুদৃঢ় করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ঈদুল আযহা শান্তি, ভালোবাসা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয়। ঈদের প্রকৃত শিক্ষা হতে হবে আত্মত্যাগ, আত্মশুদ্ধি, সংযম এবং মুসলিম উম্মাহর পারস্পরিক সম্প্রীতি ও ঐক্য।
তিনি বলেন, “চলুন, আমরা পবিত্র ঈদুল আযহার আত্মত্যাগের মহিমা হৃদয়ে ধারণ করে জুলাই অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশকে বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলি।”
প্রধান উপদেষ্টা দেশের জনগণ ও বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন।