প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার আপিল বিভাগের নির্দেশকে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা আইনি লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সফল পরিণতি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
রোববার (১ জুন) সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আজকের রায়ের মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জামায়াতকে তার রাজনৈতিক পরিচয় ও বৈধতা ফিরিয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার ভিত্তিতে যে নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল, তা এখন পুনর্বহাল হলো।”
তিনি আরও বলেন, “এই রায় অংশগ্রহণমূলক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথ সুগম করেছে। এখন থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি প্রাণবন্ত সংসদ গঠন সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি।”
শিশির মনির আশা প্রকাশ করে বলেন, “জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং শ্রেণি নির্বিশেষে সব নাগরিক যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নিতে পারেন—এটাই প্রত্যাশা। ভবিষ্যতের সংসদে গঠনমূলক ও প্রাণবন্ত বিতর্কের মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও মজবুত হবে।”
তিনি জানান, “আপিল বিভাগ হাইকোর্টের পূর্ববর্তী রায় বাতিল করে দিয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনকে জামায়াতের নিবন্ধনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে। প্রতীকের বিষয়টি কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।”
মামলার সংক্ষিপ্ত আদেশ চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা কয়েক দিনের মধ্যেই আদেশের কপি হাতে পাবো। এরপর তা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হবে। আশা করছি, কমিশন আইনানুযায়ী দ্রুত নিবন্ধন ও ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক ফিরিয়ে দেবে।”