প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
বিডের অস্বাভাবিকভাবে উচ্চমূল্যের প্রস্তাবের কারণে এমআরটি লাইন-৫ এর একটি কাজের প্যাকেজ পুনরায় টেন্ডার দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এই প্যাকেজের আওতায় ভূগর্ভস্থ স্টেশন ও সেগুলোর মূল লাইনের সঙ্গে সংযোগ নির্মাণের কাজ রয়েছে।
এই সংক্রান্ত প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করেছে এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্প কার্যালয়। প্রকল্পের জাপানি অর্থদাতা সংস্থা জাইকার সম্মতি চেয়ে তারা একটি চিঠিও পাঠিয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আনুমানিক ৭ হাজার ৪৫ কোটি টাকার এই কাজের বিপরীতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান প্রায় ১৫ হাজার ৫২৭ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছে। জাইকার নিয়ম অনুযায়ী, সর্বনিম্ন দরদাতার প্রস্তাব নিয়ে কোনো ধরনের দর-কষাকষি বা আলোচনার সুযোগ নেই। ফলে নতুন করে টেন্ডার আহ্বান ছাড়া প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।
এক প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, “চুক্তি প্যাকেজ সিপি-৬ (CP-6)-এর মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুসারে আমরা ইতোমধ্যে জাইকার ঢাকা অফিসে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছি।” তিনি আরও জানান, আলোচনার মাধ্যমে জাইকার সঙ্গে নতুন করে দর-কষাকষির সম্ভাবনা এখনো পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি।
উল্লেখ্য, প্রকল্পের ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) অনুযায়ী প্রকল্প ব্যয়ের পরিমাণ পর্যালোচনা করে ৫ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। যদিও প্রকৌশলীদের মূল্যায়নে কাজটির সম্ভাব্য ব্যয় ২০২৫ সালের হিসেবে ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৪৫ কোটি টাকা।
এমআরটি-৫ নর্থ প্রকল্পের আওতায় গত বছরের প্রাথমিক দরপত্র মূল্যায়নের পর ২০২৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে চূড়ান্ত আর্থিক প্রস্তাব জমা দিতে বলা হয়েছিল।
সরকারের বিশেষায়িত কোম্পানি ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কম যোগ্য প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের কারণে বেশিরভাগ টেন্ডার নথি নতুন করে পর্যালোচনা ও সংশোধনের কাজও করছে।
২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-৫ (নর্থ), যেটি হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত যাবে আমিনবাজার ও নতুনবাজার হয়ে—এর একটি বড় অংশ থাকবে ভূগর্ভে এবং বাকি অংশ উঁচু রেলপথে (এলিভেটেড)। এই লাইনে ৯টি ভূগর্ভস্থ স্টেশন এবং ৫টি উঁচু স্টেশন থাকবে।