ফরিদপুরে পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি বেড়েছে হাজার টাকা, ভোক্তারা চাপে
প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
ফরিদপুরে ৮ দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি বেড়েছে হাজার টাকা (কেজিতে ২৫ টাকা)। তবে কয়েক দিনের তুলনায় তা আজ সামান্য কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে। এদিকে পাইকারি বাজারে দর বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়েছে।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তর জেলা ফরিদপুর। মৌসুমে এ জেলায় আবাদ হয়েছিল ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে, যা থেকে উৎপাদন হয় ছয় লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন। যদিও মৌসুমে চাষি পর্যায়ে এক হাজার থেকে ১৫০০ টাকা মণপ্রতি দর পেয়েছিলেন কৃষক।
হঠাৎ ৮ দিনের ব্যবধানে ১৫০০ টাকার পেঁয়াজের মণ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ থেকে ২৭০০ টাকা দরে, যা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে।
পেঁয়াজের এই দর বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার অনুপাতে সরবরাহ কমে গেছে।
এদিকে চাষি ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি মৌসুমে জেলার চাষিরা পাট নিয়ে ব্যস্ত সময়ে পার করায় বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ কম করছে। এতেই পণ্যটির চাহিদার ঘাটতি হচ্ছে।
ফরিদপুরের পেঁয়াজের আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে বাইরের (বিদেশি) পেঁয়াজের আমদানি নেই। এ ছাড়াও দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ তুলনামূলক কম থাকায় চাহিদার সঙ্গে মিলছে না। এ কারণেই দর বেড়েছে।
তারা আরও জানান, জেলার চাষিরা এখন পাট জাগ দেওয়া, ধোয়া ও শুকানোর কাজে বেশি ব্যস্ত। সে কারণে পাইকারি বাজারগুলোতে পেঁয়াজ কম আনছে।
সরেজমিনে ফরিদপুরের টেপাখোলা বাজার, হাজী শরিয়তউল্লাহ বাজার, উপজেলার সালথা, বোয়ালমারী ও নগরকান্দার বাজারগুলোতে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রকারভেদে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭৫ টাকায়। পেঁয়াজের এই লাগামহীন দরে ভোক্তাদের মাঝে অসন্তুষ্টি দেখা গেছে। ভোক্তাদের প্রত্যাশা, সরকার পেঁয়াজের দামের লাগাম টানতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ফরিদপুরের কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, হঠাৎ কেন পেঁয়াজের এত দাম? বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রশাসনের দেখা উচিত। আমাদের মতো সাধারণ ভোক্তাদের এত দরে পেঁয়াজ কেনা কষ্টকর। তারা আরও জানান, সঠিকভাবে নিয়মিত পেঁয়াজের বাজার মনিটরিং করলে দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
ehsanrana209@gmail.com