প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের মতো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়ও গত ৬ জুন পালিত হয় ঈদুল আজহা। কিন্তু ঈদের আনন্দ ম্লান করে দিয়ে এর পরদিন ৭ জুন ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর তীব্র হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন।
আজ রোববার (৮ জুন) গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগ এসব তথ্য জানায়।
নিহতদের মধ্যে ১৬ জন একই পরিবারের সদস্য, যাদের মধ্যে ৬ জন ছিল শিশু। পরিবারটি গাজা সিটির সাবরা এলাকায় বসবাস করত।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল আল জাজিরাকে জানান, বিমান হামলার আগে কোনো ধরনের সতর্কবার্তা বা সাইরেন বাজানো হয়নি। তার ভাষায়, “এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নিহতদের সবাই বেসামরিক, যাদের মধ্যে নারী-শিশুর সংখ্যাও অনেক।”
এক বাসিন্দা হামেদ কেহিল জানান, “প্রতি বছর ঈদে নতুন পোশাক পরে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। এবার শিশুদের লাশ বহন করেছি। ভোররাতে ঘুম ভেঙেছে বোমার আওয়াজ আর আর্তনাদে।”
অন্য বাসিন্দা হাসান আলখোর বলেন, “গত দুই বছর ধরে ইসরায়েল গাজায় যা করে যাচ্ছে, তার বিচার একদিন আল্লাহ করবেন।”
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, শনিবারের অভিযানে তারা আসাদ আবু শারিয়া নামে হামাসের এক সামরিক নেতাকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। তিনি আল কাসেম ব্রিগেডের অধীন মুজাহিদিন ব্রিগেডের প্রধান ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল অভিযানে জড়িত ছিলেন।
এর আগে ঈদের দিন ৬ জুনও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৪২ জন।