Bangla
2 days ago

গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রয়োজন: তারেক রহমান

প্রকাশিত হয়েছে :

সংশোধিত :

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব দিতে হলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। 

আজ সোমবার (১৫ জুন) সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বহুদলীয় গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি হলো সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর গণমাধ্যম কিছুটা স্বাধীনতা পেলেও এখনো তা পুরোপুরি মুক্ত হয়নি ফ্যাসিবাদী চক্রের হাত থেকে।”

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অন্ধকার দিন। ওইদিন তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ চালু করে এবং কেবল চারটি সরকারপন্থী পত্রিকা রেখে বাকিদের বন্ধ করে দেয়। এতে বহু সংবাদকর্মী কর্মহীন হয়ে পড়েন এবং তাদের পরিবার চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল ভৌগোলিক মুক্তির পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। গণতন্ত্র মানেই নাগরিকের বাক, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, আর সংবাদপত্র সে স্বাধীনতার প্রধান মাধ্যম। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ফলে রাষ্ট্রকে জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব হয় এবং জনগণের মতামত সরকার গঠনে প্রতিফলিত হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার পর যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা সেই মূল চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছিল। তবে সেই কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরায় চালু করেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন এবং অগণতান্ত্রিক সব কালাকানুন বাতিল করেন।

তারেক রহমান শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, তারা একদলীয় শাসনের পথেই হেঁটেছেন। সাংবাদিকদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে, সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানা কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সত্য বললেই সাংবাদিকদের ওপর নেমে এসেছে নির্যাতন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যম কর্মীদের সবসময় ভয়ের মধ্যে থাকতে হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের মতো কঠোর বিধান দিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এগুলো ছিল মূলত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ‘ড্রাকোনিয়ান আইন’।

শেয়ার করুন