ইরানের পরমাণু কর্মসূচি: জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য আবারও নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি
প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ধারাবাহিক বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য আবারও ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে এই তিনটি ইউরোপীয় দেশ তেহরানকে সতর্ক করছিল যে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি আগামী অক্টোবর মাসে শেষ হলে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনরায় কার্যকর হতে পারে।
এ সিদ্ধান্ত এসেছে এমন এক সময়ে, যখন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এই সপ্তাহে সতর্ক করে বলেছিলেন যে, নিষেধাজ্ঞা পুনঃপ্রয়োগ করলে তার পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এই দেশগুলো তেহরানকে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। ওই চুক্তির আওতায় ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়েছিল এবং এর বিনিময়ে তাদের অর্থনীতির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো এক চিঠিতে ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সাল থেকে ইরান জেসিপিওএ-এর প্রতিশ্রুতিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে পালন করা বন্ধ করেছে।
তাদের মতে, এতে উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করা অন্তর্ভুক্ত, যা কোনো বিশ্বাসযোগ্য বেসামরিক ব্যাখ্যা ছাড়া, পারমাণবিক অস্ত্রহীন রাষ্ট্রের জন্য নজিরবিহীন। তবে তারা এখনো কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক, অবৈধ এবং কোনো আইনি ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আরাকচি বলেন, ইরান তার জাতীয় স্বার্থ ও অধিকার রক্ষা করতে উপযুক্ত জবাব দেবে। তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, ইউরোপীয় দেশগুলো শিগগিরই এই ভুল সিদ্ধান্ত সংশোধন করবে।