প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ১৫ হাজার ৩৯৩ জনকে সরকারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে বর্তমানে ৩৩৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার জন্য ৫১ জন আহতকে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। আরও ২৮ জনকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও তুরস্কে পাঠানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত তাদের চিকিৎসা ব্যয়ে সরকার মোট ৬১ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয় করেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসায় পরামর্শ সেবা দিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও নেপাল থেকে ২৬ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিযুক্ত করা হয়েছে। তারা বিনামূল্যে সেবা দিচ্ছেন।
শহীদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণে সরকারের উদ্যোগের অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি জানান, জুলাই শহীদ পরিবারের মধ্যে ৬৩০টি পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে মোট ৬৩ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্ট পরিবারগুলোর ওয়ারিশ নির্ধারণ শেষে সঞ্চয়পত্র দেওয়া হবে।
আহতদের মধ্যে 'এ' ক্যাটাগরির ৪৯৩ জনকে ২ লাখ টাকা করে মোট ৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকার চেক, 'বি' ক্যাটাগরির ২০৮ জনকে ১ লাখ টাকা করে ৯ কোটি ৮ লাখ টাকার চেক এবং 'সি' ক্যাটাগরির ১০,৬৪২ জনকে এককালীন ১ লাখ টাকা করে ১০৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
চিকিৎসা, সঞ্চয়পত্র ও চেক বিতরণসহ এসব খাতে এখন পর্যন্ত মোট ২৮৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আগামী অর্থবছরে প্রতিটি শহীদ পরিবারকে আরও ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও মাসিক ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। এ ছাড়া 'এ', 'বি' ও 'সি' ক্যাটাগরির আহতদের পর্যায়ক্রমে আরও অর্থ সহায়তা ও মাসিক ভাতা দেওয়া হবে — যথাক্রমে ২০ হাজার, ১৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা করে।