প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
মুক্তিযোদ্ধা কিংবা মুক্তিযুদ্ধকে অবমূল্যায়ন করার কোনো সুযোগ নেই বলে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে সেনাবাহিনী।
আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বনানীর স্টাফ রোডের মেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অবস্থান তুলে ধরেন সামরিক অপারেশন পরিদপ্তরের কর্নেল স্টাফ শফিকুল ইসলাম। সেখানে সারাদেশে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম ও মব সন্ত্রাস নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
শফিকুল ইসলাম বলেন, “গত এক বছর ধরে ধৈর্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে সরকার ও জনগণের জন্য কাজ করছি। আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন কেবল সেনাবাহিনীর কাজ নয়। মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে আমরা গ্রেপ্তার, আটক ও হস্তান্তর করতে পারি, তবে শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগ শুরু হয়েছে।”
মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা চিরকাল থাকবে। কোনো মব বা অন্য কোনো শক্তি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করার সুযোগ নেই।”
তিনি আরও জানান, মব সন্ত্রাস দমনে সেনাবাহিনী ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে। যেখানে এমন ঘটনা ঘটছে, সেখানেই দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে। তবে কিছু জায়গায় তথ্য দেরিতে পাওয়ায় সমস্যা হয়েছে। আবার কোনো কোনো ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগে গিয়ে অবস্থান নেয়, এরপর সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করা হয়। এর মধ্যে যদি কোনো ঘটনা ঘটে যায়, তা সেনাবাহিনীর দায় নয়।
মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের বাসার সামনে মব সৃষ্টির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।”
ডাকসু নির্বাচনে সাইবার বুলিংয়ের প্রসঙ্গেও কথা বলেন তিনি। শফিকুল ইসলাম বলেন, “ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে এ নিয়ে কিছু অপপ্রচার চালানো হয়েছিল, যা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা চাই, এই নির্বাচন একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চার পরিবেশ তৈরি করুক।”
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পাইনি। তবে নির্বাচন কমিশন যে দায়িত্ব দেবে, সেনাবাহিনী পেশাদারিত্বের সঙ্গে তা পালন করবে।”
অস্ত্র উদ্ধারের প্রসঙ্গে তিনি জানান, হারানো অস্ত্রের ৮০ শতাংশ উদ্ধার হয়েছে। দ্রুততম সময়ে বাকি অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।