Bangla
4 days ago

নির্বাচনে পরাজয়ের পরেও পদত্যাগের চিন্তা করছেন না শিগেরু ইশিবা

প্রকাশিত হয়েছে :

সংশোধিত :

জাপানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন জোট। তবে প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা জানিয়েছেন, তিনি এখনই পদত্যাগের চিন্তা করছেন না। 

রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক চাপের কারণে এই নির্বাচন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এবং এর জোটসঙ্গী কোমেইতো পার্টির জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়।

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ইশিবা বলেন, তিনি এই ‘কঠিন ফলাফল’ আন্তরিকভাবে মেনে নিচ্ছেন, তবে তার মনোযোগ এখন বাণিজ্য আলোচনার দিকে। 

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর নিম্নকক্ষেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিল শাসক জোট, এবার তারা উচ্চকক্ষেও সেই ক্ষমতা হারাল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে সরকারের কার্যকারিতা ও প্রভাব কমে যেতে পারে।

উচ্চকক্ষের ২৪৮টি আসনের মধ্যে ক্ষমতায় থাকার জন্য ৫০টি আসন দরকার ছিল শাসক জোটের, কিন্তু এনএইচকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তারা পেয়েছে ৪৭টি আসন। আরেকটি আসনের ফলাফল এখনো বাকি।

রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে উচ্চকক্ষের অর্ধেক আসনে ভোট হয়েছে, যেখানে প্রতিটি সদস্য ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত হন। 

কান্দা ইউনিভার্সিটি অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের জাপানি রাজনীতি বিশ্লেষক জেফরি হল বলেন, এলডিপির প্রচলিত রক্ষণশীল ভোটব্যাংক ভেঙে দিয়েছে একাধিক নতুন ডানপন্থী দল।

তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের অনুসারীরা ইশিবাকে যথেষ্ট রক্ষণশীল মনে করেন না। তাদের মতে, ইশিবার জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি দুর্বল এবং চীনের বিষয়ে তার অবস্থান যথেষ্ট কঠোর নয়, যা আবের সময় লক্ষ্য করা গিয়েছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, এবারের নির্বাচনে এলডিপির কিছু রক্ষণশীল সমর্থক সানসেইতো পার্টির দিকে ঝুঁকেছেন। 

নির্বাচনের ফলাফলকে অনেকেই জনমানুষের অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন। জীবনযাত্রার ব্যয়, বিশেষ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়া, এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার চাপ এতে প্রভাব ফেলেছে।

শেয়ার করুন