প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
নোয়াখালীতে টানা ভারী বর্ষণে জেলার ৬টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার অন্তত ২ লাখ ৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৪১ হাজার ৮৪০টি পরিবার।
আজ শুক্রবার সকালে বার্তা সংস্থা বাসস-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ।
জেলার সদর, কবিরহাট ও সেনবাগ উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। সদর উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৩০ হাজার, সেনবাগে ৩ হাজার ৮৭০, কবিরহাটে ৩ হাজার ৬৫০, কোম্পানীগঞ্জে ৩ হাজার ৫২০, সুবর্ণচরে ৫০০ এবং হাতিয়ায় ৩০০টি পরিবার।
বন্যায় একটি ঘর সম্পূর্ণ এবং ৪০টি ঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১ হাজার ৪১৯ জন মানুষ এবং ২৪০টি গবাদিপশু। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের সহায়তায় গঠন করা হয়েছে ৫১টি মেডিকেল টিম, যার মধ্যে ২৯টি ইতোমধ্যে কাজ করছে।
জেলার বিভিন্ন নিচু এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে মাইজদী শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলখানা সড়ক, পাঁচ রাস্তার মোড়, পৌর বাজারসহ বহু সড়ক পানির নিচে তলিয়ে আছে।
আন্ডারচর ইউনিয়নের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন জানান, বৃষ্টি থেমে গেলেও পানি নামছে না। ড্রেনের অব্যবস্থাপনার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পানি চলাচলের পথ সচল করতে কাজ করছে। দ্রুতই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।”