Bangla
2 days ago

নতুন রোহিঙ্গা ঢল সামলানো অসম্ভব: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রকাশিত হয়েছে :

সংশোধিত :

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই প্রায় ১২ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং নতুন করে আর কোনো ঢল সামাল দেওয়া বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি এটিকে দেশের জন্য একটি গুরুতর বোঝা বলে উল্লেখ করেন।

আজ বুধবার (২১ মে) রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। 

এই প্রেস ব্রিফিংয়ের মূল বিষয় ছিল রাখাইন অঞ্চলে মানবিক করিডোর গঠন। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে বর্তমানে গভীর মানবিক সংকট বিরাজ করছে, যা সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঝুঁকি রয়েছে বলে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন।

খলিলুর রহমান জানান, সংঘাতের কারণে রাখাইনে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে এবং বাংলাদেশই এখন একমাত্র সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা ছিল জাতিসংঘ তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সহায়তা দেবে এবং বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করবে।

বাংলাদেশ মনে করে, এই সহায়তা রাখাইনে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়ক হবে এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথ তৈরি করবে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ সহায়তা প্রদানের আগে কয়েকটি শর্ত পূরণ করা আবশ্যক, যেমন: মানবিক সহায়তা নিরবিচারে পৌঁছানো, সামরিক কাজে ব্যবহার না হওয়া এবং সহিংসতা বন্ধ রাখা।

আরাকান বাহিনী রাখাইন সীমান্তের একটি বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ স্থাপন করে। খলিলুর রহমান বলেন, এটি ছিল বাস্তবিক প্রয়োজন। তিনি জানান, বাংলাদেশ চাইছে রাখাইনে সহায়তা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং সেখানে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়গুলো নিয়ে আরাকান বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে।

তিনি আরও বলেন, সহায়তার নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ল্যান্ডমাইন ও বিস্ফোরকের ঝুঁকি দূর করা প্রয়োজন। সেইসঙ্গে আরাকান বাহিনীকে নিশ্চিত করতে হবে যে সহায়তা সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হবে না এবং রোহিঙ্গাদের আর বাস্তুচ্যুত করা যাবে না।

সবশেষে, তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ আরাকান বাহিনীর সঙ্গে ভবিষ্যতেও যোগাযোগ রাখবে কি না, তা নির্ভর করবে তাদের কার্যক্রম ও রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্বের ওপর। বিশ্ব এখন রাখাইনে কী ঘটছে তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, এবং বাংলাদেশ কোনো জাতিগত নিধন মেনে নেবে না।
 

শেয়ার করুন