প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমি আজ থেকে ৮-৯ মাস আগে বলেছিলাম, অদৃশ্য শত্রু আছে। যা এখন ধীরে ধীরে প্রকাশ্য হয়ে উঠছে।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে ছাত্রদলের শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ছাত্রদল নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ আয়োজন করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, “আমি ৮-৯ মাস আগেই বলেছিলাম, অদৃশ্য শত্রু রয়েছে। এখন আপনারা নিশ্চয়ই তা বুঝতে পারছেন। এরা কখনো সরাসরি, কখনো আড়ালে থেকে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, জনবিরোধী অবস্থান নিয়েছে।”
এক শহীদ বাবার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র ছিল, তা আমরা মোকাবিলা করে স্বৈরাচারকে হটাতে সক্ষম হয়েছি। তবে ষড়যন্ত্র এখনও চলমান।
আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বারবার বলেছি, অন্যায়কারী যেই হোক আমরা প্রশ্রয় দেবো না। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সরকার কেন ব্যর্থ হচ্ছে? এখানে যে শহীদের বাবা প্রশ্ন তুলেছেন তার সঙ্গে মিলিয়ে আমরাও অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে একই প্রশ্ন করতে চাই।
শহীদদের বিচারের ব্যাপারে তিনি বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের বহু নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। বিএনপি ছাড়াও অনেক দলের নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। এমনকি নিরপেক্ষ অনেক মানুষও শহীদ হয়েছেন দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে। আগামীতে বিএনপি দেশের মানুষের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে পারলে এসব হত্যার বিচার সুষ্ঠুভাবে হবে। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেবে বিএনপি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।