প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
সরকার বিচারিক সংস্কারের অংশ হিসেবে অনলাইনে জামিননামা দাখিলের জন্য একটি সফটওয়্যার পরীক্ষামূলকভাবে চালু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিচারপ্রার্থীদের জন্য জামিন প্রক্রিয়া সহজ করতে শিগগিরই এই সফটওয়্যার চালু করা হবে।
গত এক বছরে সরকারের গৃহীত বিচারিক সংস্কারের বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে আইন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, ডিজিটালাইজেশন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার এবং নিয়মিত প্রশাসনিক কার্যক্রম।”
মামলা নিষ্পত্তির অগ্রগতি তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, আইন ও বিচার বিভাগে দাখিল হওয়া নথির ৫০ শতাংশই এখন ই-ফাইলিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকৃত হচ্ছে।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ের কমিটিসহ আইন ও বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনা করে ১৫,০০০-এর বেশি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪০৮টি বক্তব্যভিত্তিক সাইবার ক্রাইম মামলা এবং গত বছরের আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৭৫২টি মামলা।
আসিফ নজরুল জানান, এখন থেকে যোগ্যতা ও সমান সুযোগের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন বিচারিক পরিষদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের জন্য একটি নতুন অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের জন্য বাংলাদেশের পাসপোর্ট ছাড়াই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি কার্যক্রম সম্পন্ন করার সুযোগ দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে।
পুরাতন সাইবার নিরাপত্তা আইনের দমনমূলক ধারা বাতিল করে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে নতুন সাইবার সিকিউরিটি অর্ডিন্যান্স, ২০২৫ পাস করার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, বিয়ের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিধিমালায় বিদ্যমান লিঙ্গ-ভিত্তিক বৈষম্যমূলক ধারা বাতিল করা হয়েছে।
ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে নতুন বিচারিক নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা হয়েছে এবং জনগণের জন্য বিচারপ্রাপ্তি সহজ করতে দেশের সব আদালত প্রাঙ্গণে তথ্য ও সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে বলেও উপদেষ্টা জানান।