Bangla
7 hours ago

পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন গণছুটি স্থগিত করে কর্মচারীদের ফেরার আহ্বান

প্রকাশিত হয়েছে :

সংশোধিত :

চার দাবিতে শুরু করা ‘গণছুটি’ কর্মসূচি স্থগিত করেছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন এবং সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আবার কর্মস্থলে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সমিতির দপ্তর সম্পাদক মাহবুবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।

তিনি বিডিনিউজ২৪.কমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানের আন্তরিক আশ্বাস পাওয়া গেছে। দেশের পরিস্থিতি ও জনগণের ভোগান্তি বিবেচনায় সরকার ও উপদেষ্টার প্রতি আস্থা রেখে আমরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চলমান গণছুটি কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তাদের কর্মস্থলে যোগদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। আশা করি, সরকারের প্রতি এই আস্থা দৃশ্যমান হবে।”

বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলা হয়েছে, “গ্রাম ও শহরের বিদ্যুৎ বৈষম্য দূর করে মানসম্পন্ন ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আন্দোলন শুরু করি। সরকারের বিভিন্ন সময়ে গঠিত কমিটিগুলোও কার্যকর হয়নি, কারণ আরইবি সহযোগিতা করেনি।”

সমিতি জানিয়েছে, ২১ মে থেকে শহীদ মিনারে ১৬ দিনব্যাপী আন্দোলনের পর পাওয়ার বিভাগের লিখিত আশ্বাসের ভিত্তিতে ৫ জুন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। ১৭ জুন দুটি কমিটি গঠন করা হলেও আরইবি সুপারিশ বাস্তবায়ন না করে কর্মকর্তাদের ওপর হয়রানি ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

মাহবুবুর রহমান বলেন, “৩১ আগস্ট থেকে চার দফা দাবিতে পাঁচ দিন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হলেও সমস্যার সমাধান ও হয়রানি বন্ধ না হওয়ায় ৭ সেপ্টেম্বর থেকে গণছুটি কর্মসূচি শুরু করতে হয়।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রায় দুই বছরের আন্দোলনের মধ্যেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং গ্রাহক সেবা বন্ধ করেনি। ৮০টি সমিতির ৪৫,০০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে প্রায় ৩৩,০০০ জন স্বতঃস্ফূর্তভাবে গণছুটিতে অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে উপকেন্দ্রগুলো চালু রাখা হয়েছে।

সমিতি অভিযোগ করেছে, বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগাযোগ না থাকায় আরইবি বারবার ভুল তথ্য দিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে বিভ্রান্ত করেছে।

সমিতির দাবিগুলো হলো:

১. আরইবি ও পিবিএস একীভূতকরণ অথবা অন্যান্য বিতরণ সংস্থার মতো কোম্পানি গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা, সকল চুক্তিভিত্তিক/অবৈধ কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ, মামলা প্রত্যাহার করে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল এবং অন্যায়ভাবে বদলি করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদায়ন বিদ্যুৎ বিভাগের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বাস্তবায়ন।

২. ১৭ আগস্ট থেকে হয়রানিমূলকভাবে বরখাস্ত, সংযুক্ত বা চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের বরখাস্ত আদেশ বাতিল করে পূর্ববর্তী কর্মস্থলে পুনঃনিয়োগ।

৩. জরুরি সেবায় নিযুক্ত লাইন ক্রুদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং শহীদ মিনার অবস্থান কর্মসূচির সময় যোগ দিতে না পারা পাঁচজন লাইন ক্রুকে পূর্বের কর্মস্থলে পুনঃনিয়োগ।

৪. আরইবির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া। 

শেয়ার করুন