প্রধানমন্ত্রী পদে মেয়াদসীমা নির্ধারণের বিষয়ে এনসিপি ফ্লেক্সিবল থাকবে: ডা. তাসনিম জারা
প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে ১৯৭২ সালের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত চারটি মূলনীতি বাতিলের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পদে মেয়াদসীমা নির্ধারণের বিষয়ে দলটি নমনীয় মনোভাব দেখিয়েছে।
রোববার (২২ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে এসব তথ্য জানান এনসিপির প্রতিনিধিরা।
সংলাপ শেষে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের বিষয়ে একটা ঐকমত্য ছিল যে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদটা সীমিত করা প্রয়োজন। একজন ব্যক্তি দুইবার বা দুই মেয়াদ প্রধানমন্ত্রী থাকা নিয়ে আলোচনা চলছিল। আরেকটি প্রস্তাব আসলো সর্বোচ্চ একজন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় কত বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন সেটা নির্ধারণ করলে হয়ত ভালো হবে।
তিনি বলেন, সবাই আলোচনায় করে অনেকেই একটা জায়গায় চলে আসে যে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। এনসিপির পক্ষ থেকে প্রস্তাব ছিল এক ব্যক্তি দুইবার প্রধানমন্ত্রীর পদে শপথ নিতে পারবেন। যদি ঐকমত্যের স্বার্থে সবাই ১০ বছরের কথা বলে সেক্ষেত্রে সময় নির্ধারণের জন্য এনসিপি ফ্লেক্সিবল থাকবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সীমিত করলে সাংবিধানিক অন্য পদগুলোর নিয়োগ ও কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এনসিপি চায়, এসব নিয়োগ যেন নিরপেক্ষভাবে হয় এবং কোনো পক্ষপাতিত্ব না থাকে।
রাষ্ট্রীয় মূলনীতি বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, তারা ৭২ সালের সংবিধানে থাকা চার মূলনীতি (জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা) বাতিলের পক্ষে। তাদের মতে, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে থাকা সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং গণতন্ত্রকেই মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।
তিনি বলেন, এনসিপি মুজিববাদী চার মূলনীতি সংবিধানে রাখার ঘোর বিরোধী। তবে নতুন মূলনীতি নির্ধারণে তারা উন্মুক্ত। ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে ভিন্ন কোনো শব্দ বা ভাব গ্রহণযোগ্য হলেও, ৭২-এর চারটি মূলনীতি পুরোপুরি বাতিল করা তাদের প্রধান দাবি।
এনসিপির ভাষ্যে, ৫ আগস্টের ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় আগের মূলনীতি ধরে রাখার যৌক্তিকতা নেই। দলটি সংলাপে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে যে তারা নতুন সংবিধানিক কাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।