Bangla
7 months ago

পর্ন তারকার গোপন নথিতে ট্রাম্পের নাম, দাবি ইলন মাস্কের

প্রকাশিত হয়েছে :

সংশোধিত :

নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পর্ন তারকা জেফ্রি এপস্টিনের গোপন নথিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম রয়েছে—এমন দাবি করে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক। তবে নানা আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পড়ে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মাথায় তিনি পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন। মাস্কের এই পদক্ষেপ ঘিরে নতুন করে নানা গুঞ্জন দানা বাঁধছে। বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন টাইমস।

বিতর্কিত ওই পোস্টে মাস্ক দাবি করেছিলেন, এপস্টিনের যেসব গোপন নথি রয়েছে, সেগুলোর মধ্যেই ট্রাম্পের নাম রয়েছে। তিনি বলেন, এ কারণেই নথিগুলো পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি। মাস্ক লেখেন, “এই তথ্য ভবিষ্যতের জন্য মনে রাখুন। সত্য একদিন না একদিন প্রকাশ হবেই।” পোস্টটিতে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষা ও কিছু ক্ষেত্রে হুমকির সুরও ছিল।

শনিবার দুপুরে মাস্ক পোস্টটি মুছে ফেলেন, তবে কেন তিনি তা সরালেন, সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি।

জানা গেছে, জেফ্রি এপস্টিন ও ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে আগে থেকেই নানা আলোচনা ছিল। ভার্জিনিয়া জিফরে নামের এক নারীর মামলায় প্রকাশিত নথিতে এপস্টিনের ঘনিষ্ঠ বহু প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে আসে, যাদের মধ্যে ছিলেন বিল ক্লিন্টন, স্টিফেন হকিং ও মাইকেল জ্যাকসনের মতো নামও। অভিযোগ আছে, তাঁরা কেউ না কেউ এপস্টিনের যৌন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বা কোনোভাবে সুবিধাভোগী হয়েছেন।

এছাড়া, এপস্টিনের ব্যক্তিগত বিমান ‘লোলিটা এক্সপ্রেস’-এ ট্রাম্প একাধিকবার ভ্রমণ করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে এই বিষয়ে কিছু নথি প্রকাশ পেলেও, মাস্ক দাবি করেছিলেন যে পুরো ফাইলটাই জনসমক্ষে আনা উচিত।

এদিকে এতদিন ট্রাম্প ও মাস্কের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ বলে ধরা হলেও, সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ‘ট্রাম্পকে ইমপিচ করে তাঁর জায়গায় ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে বসানো উচিত।’ এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প জানান, ‘ইলনের প্রতি আমি হতাশ। এখন আর বুঝতে পারছি না, আমাদের সম্পর্ক আগের মতো থাকবে কি না।’

সব মিলিয়ে মাস্কের সাম্প্রতিক মন্তব্য ও পদক্ষেপগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে। তবে বিতর্কিত পোস্ট সরিয়ে দিয়ে মাস্ক সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করছেন, নাকি কৌশলগতভাবে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন—সে বিষয়ে মতভেদ রয়েছে ওয়াশিংটনের রাজনীতিতে।

শেয়ার করুন