Bangla
13 days ago

রাত জাগার অভ্যাস কীভাবে দূর করবেন?

প্রকাশিত হয়েছে :

সংশোধিত :

তরুণদের মাঝে রাত জাগার অভ্যাস ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেললেও এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেছেন না অনেকে। ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, হতাশা, উচ্চ রক্তচাপসহ আরো নানারূপ স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দিচ্ছে।

রাত জাগার অভ্যাস ত্যাগ করাটা প্রাথমিকভাবে কষ্টকর মনে হলেও কিছু নিয়ম-নীতি অনুসরণের মাধ্যমে এর থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। চলুন এবারের লেখায় জেনে নেওয়া যাক তেমনই কিছু নিয়ম-নীতি সম্পর্কে।

রুটিন তৈরি করুনঃ

রাত জাগার বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে হলে প্রথমেই আপনাকে একটি রুটিন তৈরি করে নিতে হবে যেখানে প্রতিদিন কখন ঘুমাতে যাবেন এবং কখন ঘুম থেকে উঠবেন সেগুলো লেখা থাকবে। মনে রাখবেন, সকালে কোনোভাবেই নির্ধারিত সময়ের বেশি ঘুমানো যাবে না। এতে করে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্বাভাবিকভাবেই আপনি পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ে ঘুমাতে যেতে বাধ্য হবেন যা আপনাকে সঠিক সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস তৈরিতে সাহায্য করবে।

ডায়েট চার্ট অনুসরণ করুনঃ

ভালো ঘুমের জন্য সঠিক ডায়েট চার্ট অনুসরণ করা জরুরি। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে নিন। এছাড়া ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্রিন টি কিংবা গরম দুধ পান করতে পারেন।

নেশা জাতীয় দ্রব্য এড়িয়ে চলুনঃ

সিগারেট, মদ কিংবা অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য মস্তিস্কের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এছাড়া এতে নিদ্রাহীনতা কিংবা উচ্চ রক্তচাপজনিত ঝুঁকিও বেড়ে যায়। বর্তমানে তরুণদের মাঝে সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা তাদের অনিদ্রার একটি বড় কারণ হিসেবে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সঠিক সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হলে অবশ্যই নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে বিরত থাকতে হবে।

স্মার্টফোন ও কম্পিউটার থেকে দূরে থাকুনঃ

রাত জাগার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারের উপর অতিরিক্ত আসক্তি। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার ফলে এখন ঘরে বসেই যে কেউ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা গেমিং অ্যাপগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে পারে। এতে করে তরুণদের মাঝে রাত জাগার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। তাই রাত জাগার অভ্যাস দূর করতে হলে অবশ্যই রাতে স্মার্ট ফোন কিংবা কম্পিউটার ব্যবহারের মাত্রা কমাতে হবে।

পরিমিত আলো ব্যবহার করুনঃ

পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য পরিমিত আলো ব্যবহার করুন। অত্যধিক আলোতে থাকলে একদিকে যেমন আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে, অন্যদিকে এটি আপনার রাত জাগার একটি কারণও হবে। তাই ঘুমানোর আগে ঘরের আলো অবশ্যই পরিমিত রাখার চেষ্টা করুন।

বই পড়ার অভ্যাস করুনঃ

বই নিঃসন্দেহে জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধুগুলোর মধ্যে অন্যতম। বই শুধু জ্ঞানের দরজাই খুলে দেয় না, মানসিক প্রফুল্লতা বাড়াতেও বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। তাই রাতে প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে দূরে থেকে বই পড়ার উপর গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে। এতে একদিকে যেমন মানসিক প্রশান্তি আসবে, অন্যদিকে এটি একটি সুন্দর ঘুমের জন্যও সহায়ক হবে।

মেডিটেশন করুনঃ

সারাদিনের ক্লান্তি কিংবা মানসিক অবসাদের পর একটুখানি মেডিটেশন আপনাকে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও প্রশান্তির পরশ দিয়ে যাবে। অন্যদিকে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি আপনি কিছুক্ষণ মেডিটেশন করে নেন, তাহলে এটি আপনার ঘুমের জন্য সহায়ক হবে।

পরিবারের সাথে সময় কাটানঃ

পরিবারের সাথে কাটানো সময় নিঃসন্দেহে যে কোনো ব্যক্তির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি এটি পরিবারের সদস্যদের মাঝে একটি সৌহার্দপূর্ণসম্পর্ক তৈরিতেও সাহায্য করবে। যাদের রাতে স্মার্টফোন কিংবা বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহারের অভ্যাস রয়েছে, তারা এর পরিবর্তে পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারেন। এতে করে মানসিক প্রফুল্লতা আসবে যা আপনার সুন্দর একটি সুন্দর ঘুমের জন্য সহায়ক হবে।

[email protected] 

শেয়ার করুন