রংপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত এক, আহত অন্তত ২০ জন

দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
 
শনিবার (৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শহিদ মিনারের সামনে এই সংঘর্ষ হয়।
 
জানা যায়, রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মানিকের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
 
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন ঢেউটিন ব্যবসায়ী জাহিদুল হক জোয়ারদার একই এলাকার ইশতিয়াক বাবুর দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন। কিন্তু দোকান ঘরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে জানিয়ে জাহিদুলকে দোকান ঘর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন ইশতিয়াক। কিন্তু জাহিদুলের দাবি, দোকান ঘরের চুক্তির মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত রয়েছে এবং দোকানের জামানত বাবদ দেয়া ৩৫ লাখ টাকা ফেরতের শর্তে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন।

কিন্তু দোকান মালিক জামানতের ৩৫ লাখ টাকা দিতে অসম্মতি এবং দোকান নিজে না ছেড়ে দিলে জোর করে ছাড়িয়ে নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এরই প্রেক্ষিতে দোকান মালিক ইশতিয়াক বাবু দলবল নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় দোকানঘর ভাঙচুরসহ লুটপাট করেন। 

এ নিয়ে উভয় পক্ষের দ্বন্দ্ব শুরু হলে জাহিদুলের পক্ষে অবস্থান নেন শহিদুল আর ইশতিয়াক বাবুর পক্ষে অবস্থান নেন মোহাম্মদ আলী।

এ সময় ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম প্রতিবাদ করলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করে আহত করা হয়। 

জামানতের টাকা না দিয়ে ভাড়াটিয়াকে মারধর এবং দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বদরগঞ্জ শহিদ মিনারের সামনে মানববন্ধন আয়োজন করে বিএনপির শহিদুল হক মানিক গ্রুপ। 

অভিযোগ ওঠে, এ সময় অতর্কিত হামলা চালায় সাবেক এমপি রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার গ্রুপ। এর সঙ্গে যোগ দেন বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর মানিক। হামলা চালিয়ে তারা মানববন্ধনের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং মাইক ভাঙচুর করেন। এতে মানববন্ধনকারী মানিক গ্রুপের লোকজন লোকজন বাধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।