সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন শুনানিতে হাইকোর্টে হট্টগোল
প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলা বাতিল এবং জামিনের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে শুনানিকালে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আজ সোমবার (১১ আগস্ট) শুনানির সময় মামলার বাদী পক্ষ এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক থেকে শুরু হয়ে একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে হাইকোর্ট আগামী রোববার (১৭ আগস্ট) মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
বিচারপতি মো. জাকির হোসেন এবং বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩১ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া খায়রুল হকের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। তবে তার পক্ষে আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন হাইকোর্টে জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
শুনানিতে আইনজীবী মোনায়েম নবী বলেন, শুধুমাত্র হয়রানি করতেই খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার প্রায় এক বছর পর, ৬ জুলাই মামলাটি করা হয়, যার যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা নেই।
তিনি আরও জানান, খায়রুল হক ২০১১ সালের ১৭ জুন প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসরে যান। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী ঘটনার দিন ১৮ জুলাই তিনি আইন কমিশনের কাজ শেষ করে পুলিশের নিরাপত্তায় নিজ বাসায় ছিলেন। তাঁর বর্তমান বয়স ৮১ বছর এবং তিনি বিভিন্ন জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না বলেও দাবি করেন তার আইনজীবী।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং ভার্চুয়াল গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়া, শাহবাগ থানায় আরও একটি মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে, যেখানে বিচারক হিসেবে বেআইনি ও বিদ্বেষপ্রসূত রায় দেওয়া এবং জাল রায় তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছে।