সাম্য হত্যা: ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যসোসিয়েশনের মানববন্ধন, ছয় দফা দাবি
প্রকাশিত হয়েছে :
সংশোধিত :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যার ঘটনায় মানববন্ধন করেছে 'ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন'। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এই মানববন্ধনে তারা ছয়টি দাবি তুলে ধরেন।
তাদের দাবিগুলো হলো : ১। সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল অপরাধীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে হবে; ২। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের অধীনে প্রক্টোরিয়াল টিমে একটি "কুইক রেসপন্স টিম" গঠন করতে হবে, যা যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং প্রয়োজনে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে; ৩। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মাদক ব্যবসা ও অপরাধী চক্রের অভয়াশ্রম থেকে মুক্ত করে একটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের ওপর কার্যকর চাপ প্রয়োগ করতে হবে; ৪। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভারী যান চলাচল ও হর্ন বাজানো সীমিত করতে হবে; ৫।নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে, নির্দিষ্ট পরিসরে বহিরাগত নিয়ন্ত্রণসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; ৬। সকল প্রকার মব ভায়োলেন্সের পরিবর্তে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক ইসমাঈল নাহিদ বলেন, গত দশমাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সৃষ্ট মবে বহিরাগত তোফাজ্জলের হত্যাকান্ড আরেকটি সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহারিয়ার সাম্যের হত্যাকান্ড।
তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে এখন রাজত্ব করতেছে মব আর সন্ত্রাস। যা সকলের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করছে, একই সাথে হত্যাকান্ডের ঘটনা নাম নিয়ে আমরা শঙ্কিত। কিন্তু তোফাজ্জল হত্যার দশ মাস পার হলেও আমরা বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি দেখতে পাইনা। আমরা চাই প্রশাসন এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিবে এবং মব ও সন্ত্রাসের বিপক্ষে দাড়িয়ে আইন শৃঙ্খলা কায়েম করবে।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য তাপসী রাবেয়া বলেন, DURHA এর পক্ষ থেকে আমরা দ্রুততম সময়ে সাম্য হত্যার সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
একই সাথে আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি রাখছি যেনো প্রক্টরিয়াল টিমের অধীনে একটি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয় যেনো যেকোনো জটিল ও বিরূপ পরিস্থিতি সঠিক সময়ে সুষ্ঠুভাবে সমাধান করা সম্ভব হয়। ক্যাম্পাসে আমরা নির্দিষ্ট পরিসরে বহিরাগত নিয়ন্ত্রন সহ মানসিক ভারসাম্যহীন নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই যেনো আর কোনো শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতে না হয়।
এতে সঞ্চালনা করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সদস্য সচিব রুকাইয়া রচনা। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন এর সদস্য ইসরাত জাহান ইমু, আব্দুল্লাহ আজিম।