Bangla
2 days ago

সুন্দরবনে চিত্রা হরিণ অবমুক্ত: জনসচেতনতা ও বন বিভাগের যৌথ সাফল্য

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

প্রকাশিত হয়েছে :

সংশোধিত :

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্ব ঐতিহ্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের (৯মে শুক্রবার) সকালে বকুলতলা গ্রামে লোকালয়ে ঢুকে পড়া একটি চিত্রা হরিণকে উদ্ধার করে অবশেষে নিরাপদে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি এলাকার মানুষ ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে প্রাণী সংরক্ষণের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

সকালে দক্ষিণ তাফালবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ বাবু গ্রামের পাশে হরিণটিকে দেখতে পান। বনের প্রাণীটি অজ্ঞাত কারণে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মোহাম্মদ বাবু দ্রুত হরিণটিকে ধাওয়া করে তাকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু দিশেহারা হয়ে দৌড়াতে গিয়ে হরিণটি বকুলতলা গ্রামের একটি বাড়ির পাশে পাতা জালের মধ্যে আটকে যায়।

এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এলাকার যুবক মো. সোহেল ফকির ও জাকির হোসেন বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা ঘটনাটি জানান, ভিটিআরটি ও ওয়াইল্ড টিমের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মো. হাওলাদার আলমকে।

খবর পেয়ে বন বিভাগ, ভিটিআরটি ও ওয়াইল্ড টিমের সদস্যরা দ্রুত বকুলতলা গ্রামে পৌঁছান। শরণখোলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেবের নেতৃত্বে হরিণটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের পর সুন্দরবনের একটি নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হয়।

রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব বলেন, "এটি একটি চিত্রা হরিণ। সাধারণত খাবারের সন্ধানে কিংবা ভয় পেয়ে এরা মাঝেমধ্যে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। স্থানীয়দের সচেতনতা ও সহযোগিতার কারণেই হরিণটিকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে।"

স্থানীয় যুবক মো. সোহেল ফকির বলেন, “আমরা যখন দেখি হরিণটি আটকে পড়েছে, তখন ভয় না পেয়ে সবাই মিলে উদ্ধার করতে এগিয়ে যাই। পরে বন বিভাগকে খবর দিই।”

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জে প্রায়ই বন্যপ্রাণী লোকালয়ে ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটে। তবে, সচেতনতা বাড়ার ফলে এসব প্রাণীকে হত্যা বা আঘাত করার প্রবণতা কমেছে। বরং স্থানীয়রা এখন বন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রাণীগুলো উদ্ধার ও অবমুক্ত করছে।

শেয়ার করুন